Daily
শোলের বাসন্তীর কথা মনে আছে তো? গতির উপর ভরসা করে টাঙ্গি হাতে ছুটছে বাসন্তী। উফঃ সে এক সিন বটে! এবার রিলের বাসন্তী সোজা রিয়েলে। তবে রিয়েলের বাসন্তী চালায় বাইক। গব্বরের মত অনেকেই পথ আটকানোর চেষ্টা করে ঠিকই। কিন্তু তার ইচ্ছাশক্তির কাছে কোন প্রতিবন্ধকতাই ধোপে টিকতে পারে না।
দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বেনাচিতি এলাকার বাসিন্দা টুম্পা। বেসরকারি এক সংস্থার হয়ে বাইক চালান তিনি। বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা আর প্রতিবন্ধী এক বোন। স্নাতক ডিগ্রি পাশের পর জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্যে বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত হয়েছেন তিনি। কিন্তু পরিবারের লোকজনের পাশে থাকার জন্য সেই সব কাজ ছেড়ে দিতে তিনি বাধ্য হয়েছেন। তাই স্বাধীনভাবে রোজগার করার অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছে এই ভিন্ন ধরণের পেশা। যদিও পরিবারের বিপক্ষে গিয়েই।
এই পেশায় এসে কিন্তু বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। তবে জীবনে চলার পথে যা কিছু প্রতিবন্ধকতা সামনে এসেছে, সবটারই মোকাবিলা করেছেন নিজে হাতে, নির্ভয়ে। অটো স্ট্যান্ডে অটোচালকদের বা রিকশা চালকদের দাদাগিরি থেকে ছিনতাইকারীর হাত থেকে হারিয়ে যাওয়া জিনিস ফেরত এনে দেওয়া, লেডি দাবাং-এর মত রুখে দাঁড়িয়েছেন সমস্ত পরিস্থিতিতে।
এমনই বহু পথচলতি মানুষের সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন তিনি। প্রয়োজনে প্রশাসনের দ্বারস্থও হয়েছেন। আগামীদিনে মহিলাদের এই পেশায় যুক্ত হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। টুম্পা দেবীর এই সমাজসেবার দেখে শহরের অনেকেই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বিকল্প পেশায় যুক্ত হয়ে এবং নির্ভীকভাবে যেকোনো সমস্যার মুখোমুখি হয়ে আজ টুম্পা দেবী শিল্পাঞ্চলের বাকিদের কাছে আজ এক উদাহরণই বটে।