উত্তর ২৪ পরগনা জেলার চিকিৎসা জগতে, বিশেষত করোনা চিকিৎসায় পরিচিত নাম ডাক্তার বিবর্তন সাহা। জেলা কোভিড প্রোটোকল মনিটরিং কমিটির প্রধান হিসেবে, গত দু’বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এই প্রবাদপ্রতিম তরুণ চিকিৎসক। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হলেন চিকিৎসকের গোটা পরিবার। এমনকি তাঁর স্ত্রী ডাক্তার মৌসুমি চৌধুরী সহ পরিবারের অন্য দুই সদস্য ভর্তি রয়েছেন বারাসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। আর চিকিৎসক নিজে দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে রয়েছেন হোম আইসোলেশনে। এবার সেই চিকিৎসকের দ্রুত আরোগ্য কামনায় বারাসাতের সাধারণ মানুষ করোনা বিধি মেনে আয়োজন করলেন যজ্ঞ অনুষ্ঠানের।

চিকিৎসক রোগী সম্পর্কে যখন নেমে এসেছে টানাপোড়েন ঠিক তখনই চিকিৎসক হিসেবে, সাধারণ মানুষ হিসেবে টানা দু’বছর করোনা যুদ্ধে একেবারে সামনে থেকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বারাসাতের সমাজসেবী চিকিৎসক বিবর্তন সাহা। করোনাকালে যখন অধিকাংশ মানুষ ঘরে ছিলেন গৃহবন্দী তখন যে কয়েকজন গুটিকয়েক মানুষ একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন চিকিৎসা পরিষেবা ধরে রাখার কাজে, তাদের মধ্যে অন্যতম চিকিৎসক ছিলেন তিনিই। যজ্ঞের আয়োজন প্রসঙ্গে কথা বললেন বারাসতের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার প্রসন্ন বসু।

বৈদিক মন্ত্র উচ্চারনের পাশাপাশি চিকিৎসাশাস্ত্র নিজের মত চলবে বলেই মনে করেন এই তরুণ। তবে যজ্ঞ যিনি করেছেন সেই পুরোহিত মশাইয়ের বক্তব্য বেশ মন কেড়ে নিল।

সম্প্রতি বারাসাতের কালী পূজায় বিভিন্ন শ্যামাপূজা কমিটিগুলোকে পুরস্কার প্রদানের পাশাপাশি করোনার বিষয়ে সচেতন করেছিলেন এই চিকিৎসক। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কোভিড প্রোটোকল মনিটরিং কমিটির প্রধান হিসেবে সেই দায়িত্ব প্রথম দিন থেকে কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন এই প্রবাদপ্রতিম চিকিৎসক। সব কাজ বাদ দিয়ে বারাসাতের মানুষ যেভাবে এই তরুণ চিকিৎসকের আরোগ্য কামনায় ব্যস্ত রয়েছেন তা থেকে একটা কথায় পরিষ্কার, চিকিৎসক রোগীর বাইরে একটা সম্পর্ক থাকে সেটা মানবিকতার। সেই নজিরই গড়লেন বারাসাতের মানুষ।

অঙ্কিত মুখার্জ্জী
বারাসাত