Daily
আজ ভাইফোঁটা। গতকাল প্রতিপদ গিয়েছে। আজ চলছে দ্বিতীয়ার ফোঁটা। বাংলার প্রতিটি গৃহকোণে আজ চলছে সাজো সাজো রব। আজকে যে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া।
আজ প্রতিটা ঘরে ঘরে শাঁখ, উলুধ্বনির সঙ্গে সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে একটাই মন্ত্র। ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
ভাইফোঁটার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলার নিবিড় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। এই একটা দিন ভাইদের জন্য বোনেরা সর্বস্ব দিয়ে কিছু করবার চেষ্টা করেন। বোনেদের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমাজতাত্ত্বিকদের একাংশ।
সমাজতাত্ত্বিকদের একাংশের বক্তব্য, এই ভাইফোঁটার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলার বিরাট অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। অর্থনীতির ছোট্ট পরিসর থেকে অর্থনীতির বৃহত্তর পরিসরে শেষ পর্যন্ত অনেকটাই গতি সঞ্চারিত করে।
মহামারীতে যখন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলার বিভিন্ন পার্বণ তখন একই সঙ্গে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অর্থনীতির দরজাটাও। গত দু’বছরের বন্ধ হওয়া অর্থনীতির দরজাতে খোলা হওয়ার সঞ্চার করল এবছরের ভ্রাতৃদ্বিতীয়া।
ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার পালে এবছর বিপুল আর্থিক গতি নিয়ে এসেছে এবছরের পার্বণগুলি। দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজো। কালীপুজো থেকে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। এরপর জগদ্ধাত্রী পুজোতেও এই আর্থিক কর্মকাণ্ডের ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ।
অর্থনীতিবিদদের যুক্তি, এই ভ্রাতৃদ্বিতীয়া থেকে কেন্দ্র করে বাজারে বিরাট পরিমাণ আর্থিক লেনদেন হয়। এর ফলে বাজার চাঙ্গা হয়। বাজারের বিভিন্ন অংশের মানুষের হাতে অর্থের যোগান বৃদ্ধি হয়। সেই অর্থ শেষ পর্যন্ত ঘুরে আসে বাজারেই।
আর্থিক মন্দা কাটাতে ইতিমধ্যেই বাংলার পার্বণগুলির গুরুত্ব বিষয়ে অনেকটাই সহমত হয়েছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। পুজোকে কেন্দ্র করে বাংলায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিমাণটা গবেষণাপত্র আকারে বের করেছেন আইআইটি খড়গপুর। ভ্রাতৃদ্বিতীয়াও সেই বিপুল আর্থিক কর্মকাণ্ডেরই অনুসারী। বিশ্লেষকেরা বলছেন, তাই বেঁচে থাকুক ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। বেঁচে থাকুক আর্থিক কর্মকাণ্ড। বেঁচে থাকুক জীবন। বেঁচে থাকুক জীবিকা।
সৌদিপ ভট্টাচার্য্য, বিজনেস প্রাইম নিউজ