Market
ইংল্যান্ড, ইতালি, জার্মানির পর বাংলার আম এবার পৌঁছল কাতারে। মালদার বিখ্যাত লক্ষণভোগ, ফজলি, ল্যাংড়া, মল্লিকার মত আরও আটটি প্রজাতির আম কাতারের দোহার আন্তর্জাতিক উৎসবের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে । বিশ্ববাজারে মালদার আমকে এভাবেই তুলে ধরতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।
জেলার প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। আম উৎপাদন হয়েছে আনুমানিক সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টন। মালদায় উৎপন্ন হওয়া এই আমের অধিকাংশটাই যেত বাংলাদেশে। কিন্তু বাংলাদেশের রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিক্রিতে পড়েছে কোপ। তাই মালদার আম যাতে রাজ্যের বাইরে যেমন দিল্লি, গুরগাঁও অথবা দেশের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে সেদিকেই নজর রয়েছে উদ্যানপালন দপ্তর। জানালেন উদ্যানপালন দপ্তরের উপ আধিকারিক রাহুল চক্রবর্তী।
উদ্যানপালন দপ্তরের সহযোগিতায় মালদার আম বিশ্ববাজারে যাওয়ার কারণে অর্থনীতির ভিত যথেষ্ট মজবুত হবে আম চাষিদের। কারণ চাহিদা বাড়লেই আমি চাষি বা ব্যবসায়ীদের বিক্রি অনেকটা গতি পাবে। মজবুত হবে তাঁদের অর্থনীতির বুনিয়াদ। আর কাতারের দোহাতে যে আন্তর্জাতিক আম উৎসব হয়েছে তা মালদার আমচাষি এবং ব্যবসায়ীদের আর্থিক দিক থেকে অনেকটাই লাভবান করবে। এমনটাই মনে করছেন মালদা ম্যাংগো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা।
৭ এবং ৮ জুলাই কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক আম উৎসব। আর যে উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে মালদার ফজলি, ল্যাংড়া, লক্ষণভোগ বা আম্রপালি, মল্লিকার মত মালদার আম বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে দিয়ে রাজ্য সরকার এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছেন আমচাষি থেকে আম ব্যাবসায়ীদের পাশেই। তাই বিশ্ববাজারে মালদার আমকে তুলে ধরার জন্য রাজ্য সরকারকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রশান্ত দাস, মালদা