Trending
আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বাদশীতে রথের দড়িতে টান পড়তেই, পরিচিত দিনটি পাল্টে যায়। রথযাত্রার আয়োজনে মেতে ওঠে বাংলার পথঘাট। বাংলার প্রান্তিক অঞ্চল থেকে কলকাতার রাজপথ – সর্বত্র নামে মানুষের ঢল। কেউ খোঁজে ভক্তি। কেউ বা আনন্দ। আবার অনেকেই স্রেফ খোঁজে রুটি রুজির সম্ভাবনা। এই উৎসবকে কেন্দ্রে রেখেই, ঘুরতে থাকে বাংলার অর্থনীতির চাকা। উৎসব শুধু বিনোদনই নয়, উৎসব মানুষের রোজগারের সম্ভাবনাও বটে।
এই রথ তৈরির সঙ্গে যে সকল কারিগররা যুক্ত থাকেন, তাঁরাও দেখতে পান আর্থিক লাভের মুখ। রথের সঙ্গে জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রার মাটির মূর্তি বিক্রি করে লাভবান হন শিল্পীরাও। আর এই সকল কিছুর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে থাকে রথের মেলা। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোটা বাংলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় যে মেলা বসে তা আর্থিক ভাবে সমৃদ্ধ করে এই মেলায় পসরা সাজিয়ে বসা মানুষগুলোকে।
করোনার আবহে অর্থনীতির চাকার গতি খানিক হলেও থমকে গিয়েছিল। এই উৎসবের সঙ্গে যুক্ত সকল মানুষরা ভালোরকম ক্ষতির মুখোমুখি হন। এইবছর কাটতে চলেছে তাঁদের হতাশার মেঘ। মানুষের মধ্যে রথ উৎসবকে কেন্দ্র করে যে তুমুল উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে, তা ফের প্রমাণ করে দিল, রথ মানুষকে আর্থিক ভাবে নির্ভরশীল করে তোলে। স্বপ্ন দেখায় নতুন করে বাঁচার।