Daily
নিত্যদিন বাড়ছে গরমের দাপট। অস্বস্তিতে রাজ্যবাসী। কিন্তু পাল্লা দিয়ে যদি বাজার গরম হতে থাকে, তাহলে দুর্ভোগ কার- ক্রেতার। এদিকে সামনেই পয়লা বৈশাখ। আনাজ থেকে মাছ, মাংস কেনার ধুম এই সময় একটু বাড়ে বই কি। কিন্তু পাল্লা দিয়ে বাজার খরচ বাড়তে শুরু করলে, তখন প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তাহলে কি এবারের পয়লা বৈশাখে বহু পদ বাদ পড়তে চলেছে আমজনতার পাত থেকে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বাজারে হানা দিয়েছিল বিজনেস প্রাইম নিউজের ক্যামেরা। কী জবাব এলো, শুনে নেওয়া যাক।
শুরু হবে পয়লা বৈশাখ। চলছে রোজা। এই সময়ে রাজ্যবাসীর কাছে বাজারপণ্যের দাম যদি বাড়তে থাকে, তাহলে সব আনন্দ মাটি। কিন্তু সবথেকে মজার ব্যপার হল, মাছ-মাংসের দাম বৃদ্ধি পেলেও বাজারে ক্রেতার অভাব নেই। তার কারণ একটাই। ক্রেতারা নিজের প্রয়োজনমতন পণ্য ক্রয় করতে পারছেন। সাধ্যের বাইরে গিয়ে কেনা যখন পসিবল নয়, তখন ক্রেতার চাহিদা মতন বিক্রেতা জোগান দিচ্ছেন ভালো রকম। প্রত্যেককেই যে নির্দিষ্ট পরিমাণ মাছ-মাংস কিনতে হবে, এমন কোন ধরাবাঁধা নিয়ম না-থাকার কারণে আজ ক্রেতাদের মুখেও একটু হাসি দেখা যাচ্ছে। প্রয়োজন মতন তাঁরা মাছ-মাংস কিনছেন। একটু দাম বেশি হলেও, অতটা হেঁসেলে মূল্যবৃদ্ধির কোপ সেভাবে পড়ছে না।
আমদানি কম হলে সেই প্রভাব পড়ে বিক্রিতে। তখন হেঁসেল সামলাতে কার্যত হাঁকপাঁক খেতে হয় ক্রেতাদের। আর মূল্যবৃদ্ধি হলে সবার আগে কোপ পড়ে মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র মানুষের ওপর। কিন্তু একটাই পাওনা। একসঙ্গে অনেক কিছু কেনার চল নেই। প্রয়োজনমতন, সাধ্যমতন কিনতে পারছেন ক্রেতারা। তাই বাজারে ক্রেতার ঢল নেমেছে ভালোরকম। তাই রোজা এবং আসছে পয়লা বৈশাখে আমজনতা তেমন একটা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন না। বরং মূল্যবৃদ্ধির বাজারেও যে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তির একটা হাসি দেখা যাচ্ছে, সেটাই বা কম কী?
বিক্রম লাহা
বিজনেস প্রাইম নিউজ