Daily
রাজ্যের শিল্পকেই পাখির চোখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামাজিক প্রকল্পে দেশে বাংলা যদি এক নম্বরে থাকতে পারে তবে শিল্পে অতীতের ঐতিহ্য ও গৌরবকে ফিরিয়ে আনতে তাঁর সরকার বদ্ধপরিকর বলে এদিন পানাগড়ে শিল্প তালুকে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করতে এসে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় বসে সামাজিক প্রকল্পের পাশাপাশি শিল্পের মরা গাঙে জোয়ার আনতে তৈরি করেছেন নিজের তত্ত্বাবধানে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন বোর্ড।
রাজ্যের শিল্পের যত প্রসার হবে ততই বেকারত্বের হার কমবে। বড় শিল্পে বিনিয়োগ করার পাশাপাশি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ছোট শিল্পকেও এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে চান মুখ্যমন্ত্রী। এই দেশে যখন বেকারত্বের হার ঊর্ধ্বমুখী তখন বাংলায় বেকারত্ব ৪০ শতাংশ কমেছে বলেও এদিনের সভায় দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পানাগরের সরকারি সভায় ধানুকা গ্রুপের ধানসিঁড়ি প্রকল্পের সূচনায় এসে একগুচ্ছ শিল্পপতিকে মঞ্চে বসিয়েই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন শিল্প নিয়ে তার নিজস্ব ভিশন।
দেউলপচামিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ হবে তাতে বাংলা বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করে যেমন রাজ্যের আয় হবে তেমনি বাড়বে বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়ার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত মানুষের কর্মসংস্থান। একই রকম হবে জঙ্গলমহলে জঙ্গলমহল সুন্দরী প্রকল্পেও। তৈরি হবে তাজপুরে নতুন গভীর সমুদ্র বন্দর। অন্ডাল বিমানবন্দর নতুন করে তৈরি হবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সব থেকে বড় কথা শিল্প পরিকাঠামোর কোন খামতি রাখতে চান না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নতুন শিল্প প্রমোশন বোর্ড করে এক জানলা নীতিতে শিল্পে দ্রুত অনুমোদন দেওয়া । শিল্পপতিদের পর্যাপ্ত পরিকাঠামো জোগান দেওয়া। লাল ফিতের ফাঁস যথাসম্ভব কম করে দ্রুত শিল্প বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলাই তৃতীয় ইনিংসে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান টার্গেট।
পানাগরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, তাঁর সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। এখন কত তাড়াতাড়ি রাজ্যে শিল্পের মরা গাঙে শিল্পের নতুন স্রোত বইয়ে দিতে পারেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যবাসী।
ব্যুরো রিপোর্ট