Daily
অর্থবর্ষ শেষ হতে এখনো হাতে রয়েছে মাস ছয়েকেরও বেশি সময়। এখনই পরবর্তী অর্থ বর্ষের জন্য অর্থাৎ ২০২২-২৩ সালের বাজেট প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্য সরকার।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দফতরগুলির প্রধান সচিবের কাছে চলে গিয়েছে বিশেষ সার্কুলার। তৃতীয় দফায় সরকারে এসে এবার সরকারি দপ্তরে কাজকর্মের ধারাকে আরো মসৃণ করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার।
অর্থ দফতরের পক্ষ থেকে রাজ্যের সমস্ত দফতরগুলির প্রধান সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে বিশেষ সার্কুলার। এখন থেকেই তৈরি করতে হবে আগামী অর্থবর্ষে আনুমানিক প্রস্তাবিত ব্যয় বরাদ্দের হিসাব।
আগের থেকে দফতরগুলোর ব্যয় বরাদ্দের হিসাব পেলে অর্থ দফতরের পক্ষে সুবিধাজনক হয় বাজেট ক্যালকুলেশন করা। সেই সঙ্গে চলতি বছরের বাজেটে বরাদ্দের সঙ্গে দফতরগুলির খরচের বহরটাও দেখে নিয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট তৈরি করতে চাইছে রাজ্য সরকার।
দফতরগুলিতে অপ্রয়োজনীয় খরচে রাশ টানতে বলা হয়েছে। করা যাবে না কোন নতুন নির্মাণ বা পরিকাঠামোগত সংস্কারের কাজ। রাজ্য বাজেটের সিংহভাগই এখন খরচ হয় বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে। সামাজিক প্রকল্প মসৃণভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই এখন রাজ্য সরকারের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ।
চলতি বছরে রাজ্য সরকার চালু করেছেন পড়ুয়াদের জন্য নতুন ঋণ কার্ড। লক্ষীর ভান্ডার সহ একাধিক প্রকল্প। এছাড়াও যুক্ত হয়েছে কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, সবুজ সাথীর মত আরো অনেক পুরনো প্রকল্প। সব মিলিয়ে বহুমুখী সামাজিক প্রকল্পে যাতে ব্যয় বরাদ্দের অভাব না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আগে থেকেই হিসাব করতে শুরু করেছে অর্থ দপ্তর।
রাজ্য সরকারের একাধিক সামাজিক প্রকল্প এখন দেশের অন্যতম আলোচনার বিষয়। এমনকি বাংলার এই প্রকল্প গুলিতে আবেদন করছেন বাংলার বাইরে থাকা মানুষরাও। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য সামাজিক প্রকল্প গুলিতে কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্বেও যাতে বরাদ্দের অভাব না হয় সেদিকটা লক্ষ্য রাখতেই অর্থ দফতরের তড়িঘড়ি পদক্ষেপ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ব্যুরো রিপোর্ট