Daily
হাতে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। তারপর রাত পোহালেই খুলতে চলেছে রাজ্যের স্কুল-কলেজ সহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। আবারো ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ফিরে আসবে ঘন্টার আওয়াজ। শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতোই কাল থেকে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।
প্রথম পর্যায়ে স্কুলগুলিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে পঠন-পাঠন শুরু হবে। তবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত সেরকম কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। তবে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়- সব ক্ষেত্রেই বহাল থাকছে দূরত্ব বিধি, স্যানিটাইজেশন ও মাস্ক।
করোনা আবহে দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের শিক্ষাপ্রাঙ্গণগুলি। কচিকাঁচাদের কোলাহল এখন যেন দূর অতীত। আর ঘন্টার আওয়াজ অনেক ছাত্র-ছাত্রী আজ ভুলেই গিয়েছে অনলাইন ক্লাসের দাপটে।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, সরকার ধাপে ধাপে স্কুলের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রথম থেকে অষ্টম পর্যন্ত সব শ্রেণি খুলে দিতে চায়। তবে এ ক্ষেত্রে স্কুল কলেজ খোলার পরে পরিস্থিতি কোন দিকে গিয়ে দাঁড়ায় সেটা মাথায় রেখে সরকার আগামী দিনে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল চালু করতে চায়।
স্কুল খোলার সেই প্রস্তুতির ছবিটা ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতের বিভিন্ন স্কুলে আজ থেকেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। চলছে স্যানিটাইজেশনের কাজ। কিভাবে দূরত্ব বিধি বজায় রেখে ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষে বসতে দেওয়া হবে তারই হিসেব-নিকেশ চলছে বিভিন্ন স্কুলে। সেই ছবিটাই তুলে ধরছেন আমাদের প্রতিনিধি।
স্কুল খোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলি। একইসঙ্গে অভিভাবকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গ্রামাঞ্চলগুলিতে ইন্টারনেট পরিষেবা দুর্বল হওয়ায় অনেকেই অনলাইন ক্লাস করতে পারছেন না। তাই বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যাও। স্কুল ছুটের সংখ্যা কমাতে হলে এখনই চালু করতে হবে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পঠন-পাঠন।
রাজ্যের শিক্ষক সংগঠনগুলির বেশ কয়েকজন অবশ্য মনে করছেন, এখনই শিশুদের স্কুলে আর এটা ঠিক নয়। শিশুদের যেহেতু ভ্যাকসিন হয়নি। তাই শিশুদের ক্ষেত্রে বিপদের সম্ভাবনাও অনেকটা বেশি। কিছুদিন স্কুল চলার পর সংক্রমনের বহর দেখে তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে শিশুদেরকে স্কুলে আনানোর ক্ষেত্রে।
করণা আবহের পর নিউ নরমাল সিচুয়েশনে পর্যায়ক্রমে যেভাবে বিদ্যালয় ও কলেজ গুলি খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার তাকে অবশ্যই সাধুবাদ জানিয়েছেন বেশিরভাগ অভিভাবক। তবে এখনই শিশুদের স্কুল ক্যাম্পাসে হাজির করা হবে কি হবে না তার সবটাই নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর। সেক্ষেত্রে সরকার যে পরিস্থিতির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখবেন সেটাই স্বাভাবিক।
বিক্রম লাহা
বিজনেস প্রাইম নিউজ