Daily
১০টা ৫ টার একঘেয়ে জীবন থেকে একটু রিফ্রেশমেন্টের জন্য বাঙালির বরাবরই প্রিয় উত্তরবঙ্গ। আর উত্তরবঙ্গ গেছেন অথচ বেঙ্গল সাফারি পার্কে ঢুঁ মারেননি এমন লোকের সংখ্যা, হাতেগোনা। আট হোক কি আশি। উত্তরবঙ্গ ট্যুরে ভ্রমনপিপাসুদের কাছে অল টাইম ফেভারিট এই বেঙ্গল সাফারি পার্ক।
শিলিগুড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত বাংলার এই সাফারি পার্ক। বাংলার বুকে যেন একটুকরো আফ্রিকা। ঘন জঙ্গল, বাহারি গাছ, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বন্যপ্রাণ নিয়ে সুসমৃদ্ধ এই বেঙ্গল সাফারি পার্ক। একইসাথে এখানকার পর্যটন মানচিত্রে সম্প্রতি অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস যুক্ত হওয়ায় সারা বছরই পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা থাকে এই সাফারি পার্ক। এখানকার বিউটিটা কোথায় জানেন? এই পার্কে এসে, বাঘ, ভাল্লুক কিংবা অন্য বন্য জন্তু দেখতে হলে, আপনাকে থাকতে হবে বন্দী। আর তারা থাকবে ছাড়া। মানে, আপনাকে ঘোরানো হবে বাসে করে। এছাড়াও, আপনি চাইলে হাতির পিঠে চড়ে গোটা পার্কটা ঘুরে দেখতেই পারেন।
উত্তরবঙ্গের এই সাফারি পার্ককে আরও বেশি করে পর্যটনমুখী করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে নেওয়া হয়েছে একাধিক পরিকল্পনা। বেঙ্গল সাফারি পার্কের পর্যটন মুকুটে বসেছে অ্যাডভেঞ্চার পার্কের পালক। আর পার্কটি এই নতুন পরিচিতি পেয়েছে নববর্ষের দিন থেকেই। অ্যাডভেঞ্চার লাভারদের নজর টানতে ইতিমধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে দুটি জিপ লাইন। আর অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ পেতে এই জিপ লাইনের মাধ্যমে তারে ঝুলে আপনি এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতেই পারেন। এছাড়াও রয়েছে বার্মা ব্রিজ। দুই দিকে নাইলনের দড়ি আর তারের এই ঝুলন্ত ব্রিজের উপর দিয়ে এপাড়-ওপাড় করতে পারবেন পর্যটকেরা।
কাজেই দুদিনের ছুটিতে একটু ওয়ার্ক ব্রেক নিতে নির্দ্বিধায় ঘুরে আসতে পারেন শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন এই সাফারি পার্ক। বন্যপ্রান, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আর সাথে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস- সবটা মিলিয়ে উত্তরবঙ্গের এই সাফারি পার্ক বাংলার পর্যটন মানচিত্রের এক অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। বাংলার এই সাফারি পার্ক যে উত্তরের পর্যটন ব্যবসার ভিত আরও মজবুত করবে, সে বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী সরকার থেকে পর্যটন ব্যবসায়ী, প্রত্যেকেই।
অরূপ পোদ্দার
শিলিগুড়ি