বাংলার আর্থিক উন্নয়ন মৎস্যজীবীদের ছাড়া সম্ভব নয়। কয়েক লক্ষ মানুষের রুজিরুটি নির্ভর করে মাছের উপরেই। তাই মৎস্যজীবীদের জীবনের মানোন্নয়নের জন্য বরাবরই সচেষ্ট থেকেছে রাজ্য সরকার। আর কিভাবে তাঁদের অর্থনীতির ভিতকে ভবিষ্যতে আরো মজবুত করা যায় সেই বার্তাই বিশ্ব মৎস্যজীবী দিবসে ছড়িয়ে দিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি।

২১ নভেম্বর গোটা বিশ্ব জুড়েই পালন করা হয় মৎস্যজীবী দিবস। সারা বিশ্বের সাথে এই দিনটিকে সারম্বরে পালন করল কাঁথি মহকুমার খটি মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতি। এই সমিতির উদ্যোগে কাঁথির ঐতিহাসিক বীরেন্দ্র স্মৃতি সৌধে আয়োজিত হয় একটি অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই মৎস্যজীবীদের মানোন্নয়নের বার্তা দিলেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি।

আরো বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে মৎস্যজীবীদের উদ্দ্যেশ্যে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে মৎস্যজীবীদের আগামী দিনগুলোকে আরো সুসংগঠিত করা হবে।

মৎস্যজীবীদের আর্থিক উন্নয়ন শুধু নয়। মাছের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের আর্থিক উন্নতির পাশাপাশি কর্মসংস্থানকেও পাখির চোখ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাংলার প্রভূত উন্নতির জন্য মৎস্যকেন্দ্রিক অর্থনীতির উন্নতির লক্ষ্যেই একের পর এক পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। এদিনের অনুষ্ঠানে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কাঁথি মহকুমা মৎস্য দপ্তরের আধিকারিক সুরজিৎ বাগ,আয়োজক কমিটির সম্পাদক লক্ষীনারায়ণ জানা, মৎস্যকমিটির সভাপতি আমিন সোহেল সহ দপ্তরের আধিকাররিকরা।

প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর