Start-Up Business
বাংলায় নাকি শিল্পের খরা চলছে। বিনিয়োগ আসছে বাংলার বুকে। বড়ো শিল্প মুখ ফেরাচ্ছে নাকি বাংলা থেকে। বাংলার নামে অভিযোগের অঙ্ক ভুঁড়ি ভুঁড়ি। তবে আজ আপনাদের সঙ্গে এমন একটি তথ্য শেয়ার করতে চলেছি, যা শুনলে মাথা ঘুরে যাবে আপনাদের। ১৮ হাজার কোটি। ঠিক শুনছেন ১৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ এসেছে বাংলার বুকে। তাও মাত্র দু’মাসে।
কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে, ২০২৪-এর প্রথম দু’মাসে বাংলায় উপচে পড়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। থুড়ি শিল্পের ভাণ্ডার। ২০২৪ সালের প্রথম দু’মাসে যা বিনিয়োগ এসেছে তা ২০২১-২২-২৩-এর গোটা বছরেও আসেনি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বিনিয়োগের মোটা অঙ্ক শুনে সাধারণ মানুষের কী লাভ? যদি না সেই বিনিয়োগ কর্মসংস্থান তৈরি করে! ঠিক তাই। আসলে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ মানে কোন শিল্প বাংলার দিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। বাংলায় সেই শিল্পের বিকাশের মার্কেট খুঁজে পেয়েছে। আর এই গোটা বিষয়টার সহজ মানে বাংলার বুকে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আরও চওড়া হচ্ছে।
পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র বড়ো কোম্পানির হাত ধরেই বাংলায় বিনিয়োগ এসেছে ১৮ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। যে অঙ্কটা বিগত ১০ বছরের যাবতীয় বিনিয়োগের রেকর্ড ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই বিনিয়োগ এসেছে ১৬ হাজার কোটি টাকার একটু বেশি। আর এই বিনিয়োগের ফলে রাজ্যে ৫ হাজার কর্মসংস্থান হওয়ার কথা। জানা যাচ্ছে, স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, আয়রন, স্টিল কাস্টিং, ডাক্টাইল, স্টিল প্রোসেসিং, রেলের বগি তৈরির খাতে এই বিনিয়োগ এসেছে।
এক কথায়, এই সমস্ত বিনিয়োগ এসেছে বড়ো শিল্পের ক্ষেত্রে। এর পাশাপাশি ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রেও একটা বড়ো বিনিয়োগের অঙ্ক রয়েছে। বাংলায় বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য ঋণের অঙ্ক অন্তত পজিটিভ ভাইব দিচ্ছে। কাজেই বড়ো শিল্পের বিনিয়োগের অঙ্কের পাশাপাশি ক্ষুদ্র শিল্পের বিনিয়োগের অঙ্ক যদি যুক্ত করা হয়, তাহল বুঝতেই পারছেন সেটা যে চমকে ওঠার মতো নাম্বার তৈরি করবে।
বিনিয়োগ মানে শুধু টাকার অঙ্ক নয়। এর মানে এলাকায় আর্থ সামাজিক উন্নয়নের হাওয়া বইবে। যদিও এবছর বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হচ্ছে না বলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। মনে করা হচ্ছে, নির্বাচনী আবহ থাকার জন্য এবার প্রস্তুতির সময় পাওয়া যায়নি বলেই বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হচ্ছে না এই বছর। কিন্তু মাঝ বছরে এমন এক বিনিয়োগের খবরে কার্যত হুঁশ উড়েছে সকলের। তবে, অটোমোবাইল সেক্টর এবং ইনফাস্ট্রাকচার সেক্টরে বিনিয়োগ আসলে আরও বেশি পরিমাণে কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
বাংলায় রাস্তাঘাট উন্নত হচ্ছে একথা সত্যি। কিন্তু তা কতটা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে নানান মহলে। রাস্তাঘাট চওড়া করার পাশাপাশি বিশ্বমানের করারও দাবি জানিয়েছেন তারা। এখন সেই দিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্য সরকার আরও কী কী পদক্ষেপ নেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষ।
দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।