Daily
করোনা আবহে বন্ধ রাখতে হয়েছিল বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। অবশেষে দু’বছর পর বুধবার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে সূচনা হল বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের। প্রথম থেকেই এই সম্মেলন নিয়ে আশার পারদ চরছিল। কারণ এই বারের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন যে রাজ্যে বিনিয়োগ আনতে অনেকটা সমর্থ হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন অনেকেই। গৌতম আদানি, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, হীরানন্দানি মত দেশের তাবড় শিল্পপতিরা তো বটেই। সঙ্গে এই সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন ভুটান, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, চিন, জাপান, আমেরিকা, কেনিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার মত ১৯টি দেশের প্রতিনিধি দল।
এই বাণিজ্য সম্মেলনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তুলে ধরেন বাংলায় উন্নয়নের প্রসঙ্গ। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলা পূর্ব ভারতের ইকোনমিক হাব হতে চলেছে। তবে এই বাণিজ্য সম্মেলনে সবথেকে বেশি নজর ছিল আদানির দিকেই। আশাভঙ্গ হল না। আগামী ১০ বছরে ১০ হাজার কোটিরও বেশি বিনিয়োগের ঘোষণা করলেন গৌতম আদানি। দিলেন ২৫ হাজার কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি। ডেটা সেন্টার সহ ওয়্যারহাউজ, লজিস্টিক হাব এমনকি সমুদ্রের নিচে কেবল পাতার লক্ষ্যও রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর। আদানি ছাড়াও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শিল্পপতি নীরঞ্জন হিরা নন্দানি। একইসঙ্গে চমক দিলেন সজ্জন জিন্দল। জানালেন, মায়াপুরে ৭০০ একর জমির উপরে তৈরি করা হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মন্দির।
রাজ্যে শিল্প নেই, চাকরি নেই- এই তকমা প্রথম থেকেই বিরোধীদের সুর চড়াচ্ছিল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু অবশেষে দেখা গেল, বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আদানি গ্রুপের প্রতিশ্রুতি কার্যত বিরোধীদের তোলা দাবিতে জল ঢেলে দিল। দু’দিন ব্যপী বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনেই রাজ্যে বিনিয়োগের স্বপ্ন পূরণ করলেন আদানি সহ হীরানন্দানির সংস্থা। একদিকে কৃষি অন্যদিকে শিল্প। এই দুয়ের মেলবন্ধনেই বাংলার উন্নতি অবশ্যম্ভাবী। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন যে রাজ্যে কর্মসংস্কৃতির ছবিটাকে উজ্জ্বল করছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়াই যায়।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ