Daily
করোনা পরবর্তী ভারতীয় অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে পর্যটন শিল্পে। অথচ ২০১৮-১৯ সালের তথ্য বলছে ভারতের পর্যটন শিল্পের বাজার বেশ ভালো ছিল। দেশের মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদনে পর্যটন শিল্পের যোগদানও ছিল বেশ ভালো। এমনকি আমাদের এই রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও পর্যটনশিল্পের চাহিদাও ছিল বেশ ভালো।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের হিসেব অনুযায়ী ২০১৮ সালে ভারতের পর্যটন শিল্প গিয়ে পৌঁছায় ২৪০ বিলিয়ন ডলারে। ভারতে মোট কর্মসংস্থানের ৮ শতাংশ মানুষ নিয়োজিত ছিল এই শিল্পে। সংখ্যাটি নেহাতই মন্দ নয়। কাউন্সিলের হিসেব অনুযায়ী ২০১৮ সালে ভারতে প্রায় ৪২.৬৭৩ মিলিয়ন মানুষ কর্মরত ছিলেন এই পর্যটন শিল্পে। একই রকম বৃদ্ধির ছবিটা ছিল আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও। ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে বেড়াতে আসেন মোট ৯২ মিলিয়ন মানুষ। এরমধ্যে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা ছিল ১.৬ মিলিয়ন।
করোনা থাবা বসিয়েছে গোটা দেশের পর্যটন শিল্পে। বাদ পড়েনি পশ্চিমবঙ্গও। পশ্চিমবঙ্গ গোটা দেশের মধ্যে এমন একটা রাজ্য যেখানে একই সঙ্গে পাহাড় রয়েছে। রয়েছে সমুদ্র। রয়েছে সুন্দরবন। একইসঙ্গে রয়েছে মেদিনীপুরের বিস্তৃত বনাঞ্চল।
তাই ভারতে কোন রাজ্যকে যদি শুধুমাত্র পর্যটন রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করতে হয় তবে সেই তালিকায় অনায়াসেই ঢুকে পড়তে পারে আমাদের সাধের এই বাংলা। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও নিরাপদ ও সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে কিভাবে রাজ্যে পর্যটন শিল্পের পালে আবার ফিরিয়ে দেওয়া যায় পুরনো হাওয়াটা সেটাই এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
ক্যানিং থেকে দীপান্বিতা দাস, শিলিগুড়ি থেকে সৌম্য ঘোষ, দীঘা থেকে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মুর্শিদাবাদ থেকে কুশল শেরিফ এবং কলকাতা থেকে বিক্রম লাহা