Trending
কে বলে বাঙালি ব্যবসাবিমুখ? সপ্তডিঙ্গায় বাঙালির বাণিজ্যযাত্রার কথা মনে পড়ে? কথা কও কথা কও অনাদি অতীত।
ব্যাস! এটুকুই। এই বিশ্বাসটুকুই আগামীতে এগিয়ে চলার জন্য যথেষ্ট।
এখন তো বাংলার ব্যবসায় আন্তর্জাতিক ছোঁয়া। ব্যবসার সীমানা পাল্টাচ্ছে। ধরণ বদলাচ্ছে। অভিনবত্ব আসছে। বাঙালি তারকা উদ্যগপতিদের খোঁজ রাখেন অনেকেই। কিন্তু বড় উদ্যোগপতিদের পাশাপাশি ছোট ও মাঝারি উদ্যোগপতিরাও তাদের বাণিজ্যতরী ভাসাচ্ছেন- দাপটের সঙ্গে, সাহসের সঙ্গে। আর এভাবেই যদি বাংলার ব্যবসার দীপ যদি জ্বলতে থাকে, তাহলে অর্থনীতির দুনিয়ায় আলোকিত হবে বাংলা এবং বাঙালিরা।
এককথায়, ‘বাংলার অর্থনৈতিক নবজাগরণ হবে বাঙালি ব্যবসায়ীদের হাত ধরেই’। নাহ! এটা কোন স্টেটমেন্ট নয়। বেঙ্গল বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত সাম্প্রতিক তর্কসভার টপিক এটাই ছিল। আলিপুর জেল মিউজিয়ামে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়-এর স্মৃতিতেই এই বিতর্কসভার আয়োজন করা হয়। বলা বাহুল্য, তর্কসভার রায়ও কিন্তু তাই বলছে। বাঙালির রক্তে আছে ব্যবসা। ঐতিহ্যে ব্যবসা। এই কথাগুলোকেই স্তুতির মত আগলে রেখেছে বেঙ্গল বিজনেস কাউন্সিল।
ঠিক তাই। প্রতিযোগী নয়। সহায়ক ভাবতে হবে। দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাস আর কিছু করে দেখানোর জেদ- এটুকুতে ভরসা করলে একাই কতদূর হাঁটা যায়। আর সেখানে হাতে হাত রেখে এগোলে হয়তো দিগন্ত ছুঁয়ে ফেলা যায়।
কাউন্সিলের এই আয়োজনের অন্যতম প্রধান কারণ হল, একটা প্রানবন্ত বাঙালি entrepreneur কমিউনিটি গঠন করা। একইসঙ্গে, শীতঘুম ভাঙিয়ে ব্যবসার মেজাজকে জাগিয়ে তোলা। তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কী তা পারবে? বাংলা তথা ভারতকে শ্রেষ্ঠত্বের চূড়ায় পৌঁছে দিতে কতটা ভরসা করা যায় তাদের?
ব্যবসাদার বাঙালির বিশ্বায়নের আশায় পথ চেয়ে আছে সকলেই। একদিন হয়ত আবারও চটকলগুলো উঠে দাঁড়াবে। ডানলপ, বেঙ্গল কেমিক্যালস চলবে রমরমিয়ে। আবার তৈরি হবে সপ্তডিঙা ভাসিয়ে বাঙালির বাণিজ্যযাত্রার গল্প। মধুকর ডিঙা, চাঁদ সদাগর ও কমলে-কামিনীর গল্প বাংলার ঘরে ঘরে প্রাণময় হয়ে উঠবে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ