কে মারে উঁকিঝুঁকি তৃণমূলে আসার? বিজেপির ভরাডুবি হবে এবার। বিজেপির সাংসদ সংখ্যা আরও কমতে চলেছে? ইন্ডিয়া জোটে সাংসদের সংখ্যা কি আরও বাড়তে চলেছে? শুরু হয়েছে তুমুল চর্চা। বিজেপির ৩ সাংসদ উঁকিঝুঁকি মারা শুরু করেছেন বিরোধী ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেবার জন্য। এমন দাবি করেছেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। এমনই একটা চমক দিয়ে আপাতত জোর চর্চা রাজনীতির আঙিনায়। এই বিষয়টা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছেন তিনি। তারপরই কার্যত টলে উঠেছে রাজনীতির পরিসর। সাকেত গোখলে বলছেন, এখন বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ২৪০। ইন্ডিয়ার সাংসদ সংখ্যা ২৩৭। মানে ৩ জন যদি এখন বিজেপিকে পরিত্যাগ করেন তাহলে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ২৩৭ আর ওদিকে ইন্ডিয়া জোটের সাংসদ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ২৪০। কে কে আসতে পারেন?

সেটা বলার আগে বলি, সাকেতের এই বক্তব্য সামনে আসতেই কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৈরি হয়ে গিয়েছে সন্দেহের বাতাবরণ। তাহলে কি সত্যিই বিজেপির ৩ জন সাংসদ আসছেন তৃণমূলে? গুঞ্জন জোর। সাকেতের কথামত বিজেপির ৩ সাংসদ নাকি একেবারে পা বাড়িয়ে রেখেছেন তৃণমূলে আসার জন্য। যোগাযোগ রাখছেন নাকি তাঁরা। তার মানে যে কোন দিন এই সম্ভাবনা দেখা যেতে পারে যে বিজেপির আসন সংখ্যা কমে গেল, ইন্ডিয়া জোটের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পেল। তাহলে প্রশ্ন, বিজেপির যে ৩ সাংসদ তৃণমূলে আসার কথা ভাবছেন, তাঁরা যোগাযোগ কিভাবে করলেন? জানা যাচ্ছে যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দিল্লিতে ছিলেন, জাতীয় রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন ঠিক তখন বিজেপির ৩ সাংসদের তৃণমূলে আসা নিয়ে জল্পনার পারদ চড়ে। তবে বিজেপির পারফরম্যান্স নিয়ে বিজেপির অন্দরে ক্ষোভের বাতাবরণ এমনিই তৈরি হয়েছে। যারা দলের স্বার্থে নিজেকে উজার করেও শূন্য হাতে ফিরছেন তাঁদের মধ্যে এই ধরণের ক্ষোভ, বিক্ষোভ তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। বিজেপি থেকে তৃণমূলে কামব্যাকের উদাহরণ আগেও আমরা পেয়েছি। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর তৃণমূলের হাত ধরেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। আবার অন্যদিকে ২০২২ সালে যদি দেখি, তাহলে অর্জুন সিং-এর তৃণমূলে কামব্যাক ছিল চমকে দেবার মত।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এবার তাহলে কারা আসতে চলেছেন? দেখুন, আমরা সকলেই দেখেছি, যখনই তৃণমূলে যোগদানের কথা শোনা গেছে তখন বঙ্গ বিজেপির অস্বস্তি চরমে উঠেছে। আর সেটা স্বাভাবিক। যে কোন দলের ক্ষেত্রেই এটা স্বাভাবিক। তবে মুশকিল হচ্ছে, এবারে বিজেপি তো আর নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায় নি। দু’এক জন এদিকে ওদিকে ছিটকে গেলেও তেমন একটা গা করতে দেখা যায়নি বিজেপি শিবিরকে। তবে এবারের খেলাটা একেবারে অন্য। বিজেপির এনডিএ আর কংগ্রেসের ইন্ডিয়া একে অপরের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। ফলে এটা এমন একটা সময়, যখন বিজেপি তিনজন নয়, একজন হারালেও সেটা চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেবে পদ্মশিবিরে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বিজেপির যদি ৩ জন সাংসদ তৃণমূলে আসার কথা ভাবেন তাহলে বিজেপি শিবিরে মহাগেরো। কিন্তু কারা আসতে চলেছেন তৃণমূলে? সত্যি বলতে কী, সেটা কেউ জানেই না। আর তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে তিনিও কিছু খোলসা করেন নি। এদিকে বঙ্গ বিজেপির কাছে এই প্রশ্নটা রাখা হয়েছিল। আলিপুরদুয়ার থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী মনোজ টিগ্গা এই বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, স্বপ্ন অনেকেই দেখতে পারেন। কিন্তু এমন সম্ভাবনা হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এখন এই দলের প্রার্থী ঐ দলে যাওয়ার বা ঐ দলের প্রার্থী এই দলে আসার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তাহলে সেটা সত্যিই হতে চলেছে নাকি? তার উত্তর দেবে সময়। তবে আপনারা কি মনে করেন, সেটা জানান।

বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ