Daily
নারদ মামলায় ৪ হেভিওয়েট অভিযুক্ত নেতাকে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে কোর্ট চার নেতার অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে।
তবে এই দিন হাই কোর্ট চত্বরে মামলা শুরু হওয়ার আগেই ভাইরাল হয় প্রধান বিচারপতিকে লেখা অন্য এক বিচারপতির একটি চিঠি।
ভাইরাল চিঠিতে এক বিচারপতি দাবি করেন, আদালত কিভাবে একটি ইমেইলকে রিট পিটিশন হিসেবে গ্রহণ করে রাতে শুনানি শুনতে পারে?
কিভাবে হাইকোর্ট সিবিআইয়ের ইমেইলের ট্রানস্ফার পিটিশনকে গুরুত্ব না দিয়ে নিম্ন আদালতে জামিনের উপর স্থগিতাদেশ দিতে পারে?
এই ভাইরাল চিঠিতে বিচারপতি আরও দাবি করেন, কিভাবে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা না পাঠিয়ে তড়িঘড়ি ফার্স্ট বেঞ্চে মামলা শুনল আদালত?
বিচারপতি এই চিঠিতে আরও দাবি করেন, এভাবে মামলা শুনে কোর্ট কি নিজেদেরকে হাস্যাস্পদ করে তুলছে না? এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে এই ভাইরাল চিঠিতে।
এদিকে কলকাতা হাইকোর্টে আজ বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ মামলায় অভিযুক্ত ৪ হেভিওয়েট নেতাকে শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে আদালত। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে নারদ মামলা নিয়ে কথা বলার উপর আরোপ করা হয় বিধি নিষেধ।
তবে বৃহত্তর বেঞ্চে বিচারপতিরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, মামলা আর ঠাণ্ডা ঘরে পাঠানো হবে না। তবে আদালত মামলার গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে প্রয়োজনে অভিযুক্তদের জামিন বাজেয়াপ্ত করতে পারবে।
মামলার শুনানি শুরুর পূর্বেই হাইকোর্টের বিচারপতির ভাইরাল চিঠিকে বেশ বেনজির বলেই মনে করছেন আইনজীবীদের অধিকাংশ।
ব্যুরো রিপোর্ট