Trending
দুর্গা পুজোর বাঁধনহারা ভিড় প্রশাসনের উদ্বেগ অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। এরই মধ্যে যাতে নতুন করে আর সংক্রমণ প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে না দাঁড়ায় তাই কালী পুজো উপলক্ষ্যে আগাম তৎপর হল প্রশাসন। তারই একটুকরো ছবি ধরা পড়ল বারাসাতে।
বারাসাতের সঙ্গে কালীপুজোর নাম একসাথে উচ্চারিত হয়। এখানকার একের পর এক ঐতিহ্যবাহী পুজো দেখতে মানুষের ঢল নামে রাস্তায়। একইসঙ্গে জাঁকজমকে পরিপূর্ণ বর্ণাঢ্য কালীপুজো দর্শকদের উপহার দিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে বারাসাতের মেগা বাজেটের কালীপুজোর আয়োজকরা। প্রতিমা, মণ্ডপ আর আলোকসজ্জার রোশনাইয়ে সেজে ওঠে বারাসাত। করোনা আবহে গেল বছর পুজোর সেই জাঁকজমক তেমন একটা লক্ষ্য করা না গেলেও এই বছরে কালী পুজো যে দায়সারা ভাবে হবে না সে কথা স্পষ্ট হল বারাসাতের ক্লাবগুলির কর্মকর্তাদের বক্তব্যে। একইসঙ্গে তাঁরা এটাও জানালেন যে করোনার যাবতীয় বিধিনিষেধ মানতে ক্লাব কর্মকর্তারা যথেষ্ট সচেতন।
কালী পুজোর অন্যতম অঙ্গ হল আলোর রোশনাই। তাই আলোর জমক থাকলেও করোনা বিধির দিকে সবসময় নজর থাকবে ক্লাবকর্মকর্তাদের। তার সঙ্গে খেয়াল রাখতে হয়েছে টিকাকরণের দুটি ডোজের দিকটিও। তাই কিভাবে ক্লাবকর্মকর্তারা আসন্ন কালীপুজো উপলক্ষ্যে নিজেদের গোছাতে শুরু করেছেন সেই কথাও উঠে এলো তাঁদের বক্তব্যে।
বারাসাতে ক্লাবগুলোর মধ্যে কালীপুজো নিয়ে জোর রেষারেষি থাকে। তাই দায়সারাভাবে যে পুজো হচ্ছে না, সে কথা বলাই বাহুল্য। আর যে কারণে পুজোর কয়েকদিন আগে থেকেই সাজতে শুরু করে দিয়েছে গোটা বারাসাত চত্বর। এদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা তো রয়েছেই। তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণ আর করোনাবিধি মেনে পুজোর আয়োজন করাই বড় চ্যালেঞ্জ বারাসাত পুলিশ জেলা প্রশাসনের কাছে। এবার সেই উদ্দ্যেশ্যেই একযোগে পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে প্রতিটি বড় পুজো ঘুরে দেখলেন পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখার্জী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর।
কালীপুজোয় সাধারণ দর্শক এবং উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা প্রশংসনীয়। তাই গেলবার ছোট করে পুজো হলেও এবারে যদি সেই পুজোর জাঁকজমক একটু বৃদ্ধি পায় তাতেও দুই তরফের সহযোগিতা থাকলে কালী পুজোয় কোনরকম অশনি সংকেত দেখা যাবেনা।
বারাসাত নিয়ে কালীপুজোর যে ভাবনা মানুষের রয়েছে সেই ভাবনায় আঘাত দেওয়া একেবারেই কাম্য নয়। তাই বারাসাতের পুজো নিয়ে, একইসাথে সাধারণ মানুষের ভাবাবেগকে একটু হলেও প্রশ্রয় দিয়ে এবারে হয়ত ছোটর মধ্যেই অন্যরকম করে সারা হবে কালী পুজো। এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানালেন অশনি মুখার্জী।
গোটা পশ্চিমবাংলার কাছে কালীপুজো মানে বারাসাত। প্রতিবছরেই বারাসাত আলোর জমক এবং পুজোর বহরে জমজমাট থাকে। মানুষের ঢল নামে বারসাতের রাস্তায় রাস্তায়। গেল বছর সেই ভিড়, সেই চেনা ছবি একেবারেই উধাও হয়ে গিয়েছিল। এই বছর দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব কমে যাওয়ায় আবারো ছোটর মধ্যেই নতুন কিছু করে দেখানোর চেষ্টা করছেন ক্লাবকর্মকর্তারা। এখন করোনা বিধি এবং প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে কিভাবে বারাসাতের কালী পুজো নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজ্যবাসীর।
অঙ্কিত মুখার্জী
বারাসাত