Market

আচমকা জিনিসপত্রের দাম বাড়ার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছে ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ড। মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম অঙ্গ হিসেবেই জিনিসের দাম বেড়েছে। ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ড তারমধ্যে চেষ্টা করেছে সুদের হার ঠিকঠাক রাখতে। ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের গর্ভনর অ্যান্ড্রু বেইলি ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, ‘এতে মানুষকে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কিছু করারও নেই। আশা করছি তা থেকে কাটিয়ে উঠতে পারব।’ একেই সুদের হার ০.১ শতাংশ দাঁড়িয়ে আছে। অতীতে এত নীচে সুদের হার কোনওদিন হয়নি।
৫ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির জন্য এ মাসে সুদের হার বাড়ানো যায়নি। কিন্তু আগামী মাসে তা বাড়তে পারে বলে ধারণা অর্থনীতি মহলে। যদিও ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের গর্ভনর আগাম কোনও ইঙ্গিত দেননি। তাঁর কথায়, ‘এই মুদ্রাস্ফীতি শুধু আমাদের দেশের জন্য নয়। বিশ্ব বাজারে সঙ্কটের জন্য আমাদের দেশে তার প্রভাব পড়েছে।’
এখন কী ভাবে এই মুদ্রাস্ফীতি থেকে বেরোবে ইংল্যান্ড? এই প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেননি গর্ভনর। ক্রমাগত দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। বহু কোম্পানিতে তালা বন্ধ। সরকারী উদ্যোগ নিয়ে সফল হয়নি। করোনা কালে দরিদ্র লোকদের বিনা অর্থে রেশন দিতে গিয়ে অর্থনীতির অনেকটাই বেহাল অবস্থার মধ্যে পড়েছে। বারবার লকডাউন করতে হয়েছে করোনার কারণে। এই মুদ্রাস্ফীতি তারই অঙ্গ বলে ধারণা গর্ভনরের।
ব্যুরো রিপোর্ট