Bangladesh

নতুন অর্থ বছরের শুরুটা কিছুটা স্বস্তির সাথেই হল বাংলাদেশের। ঋণপত্র খোলা কমার ফল স্বরূপ আমদানি ব্যয় অনেকটাই কমেছে।এবং আরো কমার সম্ভাবনা আছে বলেও জানা যাচ্ছে। আবার প্রবাসী আয় তথা রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিও লক্ষ্য করা গেছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরুতেই বৈদেশিক বাণিজ্য ও প্রবাসী আয়ের ফলাফল ভালো হওয়ায় সাময়িক স্বস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ।
ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর মার্চ–জুন পর্যন্ত টানা চার মাসে বাংলাদেশ যেখানে প্রতি মাসে পণ্য আমদানি করেছে প্রায় ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলারের সেখানে চলতি অর্থবর্ষের শুরুতেই সেই সংখ্যাটা এসে দাঁড়িয়েছে ৭০০ কোটি ডলারের নীচে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, গত জুলাই মাসে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি ব্যয় প্রায় ৬৭৯ কোটি ডলার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী , বাংলাদেশ গেলো জুলাই তে প্রায় ৩৯৮ কোটি মার্কিন ডলারের সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। গত অর্থবর্ষের জুলাইতে এই অঙ্কটা ছিল প্রায় ৩৪৭ কোটি ডলারের সমান। অর্থাৎ গত অর্থবর্ষের তুলনায় এই অর্থবর্ষের শুরুর মাসেই রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ।
কিন্তু এসবের মাঝেও এখনও পুরোপুরি অনিশ্চিয়তা কাটেনি। বৈদেশিক মুদ্রার আয় আর ব্যয়ের অনুপাতে ব্যয়ের মাত্রা বেশি থাকায় বাংলাদেশে ডলার নিয়ে সমস্যা চলছে অনেকদিন ধরেই। ব্যবসায়ী দের এখন প্রতি ডলার পিছু প্রায় ১০৫ টাকা করে ব্যয় করতে হচ্ছে। ডলারের দরের অনিশ্চয়তায় অনেক শিল্পের কাঁচামাল আমদানিও কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আবার বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বগতি থাকার সময় যেসব পণ্য আমদানি হয়েছে, সেসব পণ্যের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে হবে সামনে। এবং এইসব কারণে অনেকটাই চাপ বাড়বে ব্যবসায়ীদের ওপর।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ