Daily

বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের গ্রাফ উঠেছে, মহামারীর হোঁচট খেয়েছে, আবার ক্ষত সামলে ঘুরেও দাঁড়িয়েছে। বাতিল হয়েছে একের পর এক ক্রয়াদেশ। দুশ্চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট হয়েছে মালিকদের কপালে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকার দরুন অনেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন যে এবার হয়তো বাপ-দাদার আমলের ব্যবসায় দাঁড়ি টানতে হবে। তবে নাহ! সব অন্ধকার শেষে যেমন আলোর সূর্য অপেক্ষা করে, তেমন ফের বাংলাদেশের পোশাক শিল্পও ঘুরে দাঁড়িয়েছে করোনার ক্ষত সামলে।
বেড়েছে রপ্তানি বাণিজ্য। ক্রয়াদেশের বিপুল চাপের কারণে অনেক উদ্যোক্তা রীতিমত নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অনেকে আবার বলছেন, বছরটা নাকি তাদের ব্যবসায়িক দিক থেকে বেশ ভালই কেটেছে। বলবে নাই বা কেনো বলুন? ২০২০ সালের পশার রপ্তানি বাণিজ্যে গ্রাফটা বলছে বাণিজ্য হয়েছিল ২ হাজার ৪৮১ কোটি মার্কিন ডলারের। আর বছর শেষে এই বছরের হিসেবটা দাঁড়াচ্ছে ৩ হাজার ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যবসায়িক লেনদেনের। অর্থাৎ, বাণিজ্যিক গ্রাফটাই বলে দিচ্ছে, গত বছরের তুলনায় এবছরের ব্যবসায়িক লেনদেন বেড়েছে একেবারে ২৮% পর্যন্ত।
বাণিজ্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে অনেকে মনে করছেন, ভারতে ও ভিয়েতনামে করোনা বিধিনিষেধ থাকার কারণে ক্রয়াদেশ পেয়েছে বাংলাদেশ। আবার ইউরোপ আমেরিকার ক্রেতাদের কিছু ক্রয়াদেশ চিন থেকে স্থানান্তরিত হয় বাংলাদেশে। ফলে সব মিলিয়ে ২০১৯ সালের তুলনায় বাংলাদেশের ক্রয়াদেশ বেড়েছে ১৫-২০ %। বাড়তি ক্রয়াদেশ ধরতে রীতিমত দ্বিতীয় শিফট চালু করতে হয়েছে একাধিক কোম্পানিকে। তবে শ্রমিকের ঘাটতি থাকার দরুন উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর ইচ্ছে থাকলেও পিছিয়ে আসতে হয়েছে উদ্যোক্তাদের।
ব্যুরো রিপোর্ট