Market
ভারত পাচ্ছে প্রশংসা। এদিকে ভয় পাচ্ছে বাংলাদেশ। কারণ, আইএমএফের হুঁশিয়ারি। হুঁশিয়ারি না-বলে একে সতর্কবার্তাও বলা যায় অবশ্য। তার আগে বলি, ভারত নিয়ে আইএমএফের প্রশংসা বার্তা। মূল্যস্ফীতি বা জিডিপি গ্রোথ- ইত্যাদি নিয়ে আগেই আইএমএফ ভারতকে সতর্ক করেছিল। কিন্তু দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক মানে আরবিআই যেভাবে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেটাই প্রশংসা কুড়িয়েছে আইএমএফের। এদিকে মুদ্রাস্ফীতি আর জিডিপির সর্বনিম্ন বৃদ্ধি- এই দুটোই আবার বেশ চাপে রেখে দিয়েছে বাংলাদেশকে। সামাল দেবার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে মানে হাসিনা গভর্নমেন্টকে এই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড।
বাংলাদেশের ইকোনমি নিয়ে গেল বছরেই একটা অনুমান করেছিল আইএমএফ। বলা হয়েছিল, সেই বছর বাংলাদেশের জিডিপি গ্রোথ থাকতে পারে ৭.২ শতাংশে। আর এই বছরে সেটা কমে দাঁড়াতে পারে ৬ শতাংশের কাছাকাছি। এই পূর্বাভাস কিন্তু বাংলাদেশের আর্থিক পরিস্থিতির জন্য ভালোরকম কঠিন। কারণ, আইএমএফের জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস বাংলাদেশের গত ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আবার এদিকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়েও আশঙ্কার পারদ চড়াচ্ছে আইএমএফ। গত বছরে বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৬.১ শতাংশের আশেপাশে। এদিকে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড বলছে, এই বছর মানে ২০২২ এর শেষে বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছতে পারে ৯.১ শতাংশে। তার মানে, বাংলাদেশের অর্থনীতির ভাগ্যে ফাঁড়া!
বিশ্বব্যাঙ্ক অবশ্য এখনি আতঙ্কে ভুগতে বারণ করছে বাংলাদেশবাসীকে। কারণ তারা মনে করছে, এই ধরণের আর্থিক সংকট দেখা যেতেই পারে। তার জন্য সরকারকে একটু হুঁশিয়ার হতে হবে। পদক্ষেপ ফেলতে হবে সবদিক বুঝে। তার জন্য বিশ্বব্যাঙ্ক একটা নিদান দিয়েছে। তারা বলছে, বিনিয়োগের অঙ্কটা আরো বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। তার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে মুদ্রাস্ফীতি। খেয়াল রাখতে হবে দরিদ্র মানুষগুলোর কথা। তাঁদের আর্থিক সুরক্ষার দিকটা সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, বাংলাদেশে কিন্তু দারিদ্র্য ২০২২ সালে ১৮.৫৪ শতাংশ। অতিমারির ধাক্কাতেই গরিব মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশকে বেশ চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। আর যে কারণে সংকট এড়াতে বিশ্বব্যাঙ্ক এই পরামর্শ দিচ্ছে হাসিনা সরকারকে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ