Bangladesh
ভারতের দেখাদেখি এবার চাঁদে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সব ঠিক থাকলে ২০২৪-এই বাংলাদেশ পৌঁছে যেতে পারে চাঁদে।
স্বপ্ন সত্যি হলে সেটা বাংলাদেশের জন্য মহাকাশ সেক্টরে একটা দুর্দান্ত ইমপ্রেশন তৈরি হবে।
যা সার্বিকভাবে গোটা বাংলাদেশবাসীর কাছে তো বটেই,
তরুণ প্রজন্মের কাছেও সেটা মাইলস্টোন তৈরি করবে।
কিন্তু বাংলাদেশের এই মুন মিশনের কারণ কী?
চাঁদে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট তৈরি করবে কোথায়?
আজকের প্রতিবেদনে বলব সবটাই।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অভিযান সারার পরেই ভারত উঠে এসেছে পয়লা নম্বরে। যা পারেনি নাসা, তাই করেছে ইসরো। চাঁদের সাউথ পোল রিজিওনে আগে তো কেউ অবতরণ করে নি। ভারত সেদিক থেকে হিস্ট্রি ক্রিয়েট করেছে। আবার চাঁদে সফল অবতরণের দিক থেকে ভারত এখন র্যাঙ্ক চারে। আর ইসরোর জয়জয়কারের কারণ হল, দামে কম কিন্তু কাজে অব্যর্থ। সুতরাং ইসরোর প্রশংসা কোনদিক থেকেই লঘু হবার নয়। বরং সময়ের সঙ্গে পা মিলিয়ে ভবিষ্যতে ইসরো যেন ঠারেঠোরেই নাসার গর্জনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। এদিকে যখন সর্বত্র ইসরোর প্রশংসা তখন কেনই বা পিছিয়ে থাকবে বাংলাদেশ? তাই হাসিনা সরকারের লক্ষ্য এবার চাঁদে স্যাটেলাইট। কেন পিছিয়ে থাকবে বাংলাদেশ? মুন মিশনের লক্ষ্যপূরণে তাই নেমেছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের মুন মিশনের লক্ষ্যপূরণে উল্লেখযোগ্যভাবে সহযোগিতা করছে নাসা।
২০২৪ সালের শুরুতেই চাঁদের দিকে রওনা দেবার কথা রয়েছে ফেমটোর। এই ফেমটো হল বাংলাদেশের তৈরি প্রথম স্যাটেলাইট। যা আকারে অত্যন্ত ক্ষুদ্র। ভর মাত্র ২০ গ্রাম মতন। এই ক্ষুদে স্যাটেলাইটটি পাঠিয়ে বাংলাদেশ পরীক্ষা করবে চাঁদের জলহাওয়া। পৃথিবীর বাইরে চাঁদে মানুষ থাকতে পারবেন কিনা সেটাই পরীক্ষা করা হবে বলে খবর। মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে গ্রেট লুনার এক্সপিডিশন ফর এভরিওয়ান বা গ্লি- এ অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। জানা গিয়েছে, নাসার এই চন্দ্রাভিযানে মোট ২২টি দেশ এই প্রকল্পে জায়গা করে নিতে পেরেছে। উল্লেখ্য, ২২টি দেশই নাসার সঙ্গে হাত মিলিয়ে চাঁদ যাত্রার রাস্তাটা মসৃণ রাখার চেষ্টা করছে। স্যাটেলাইট তৈরির প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নাসা পাঠিয়ে দিয়েছে ২০২২ সালে। সেই সকল যন্ত্রাংশ অ্যাসেম্বলি করা হবে। কাজ করছেন বাংলাদেশের ৪৫ জনের একটি সদস্য। জানা যাবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার আগে সেটা নাসার দফতরে পাঠাবে বাংলাদেশ। নাসা যখন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে, তখন চাইলে উপস্থিত থাকতে পারবেন বাংলাদেশের টিম। তবে তাদের উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে যাবার খরচখরচা নিজেদেরকেই দিতে হবে। প্রতিবেদন শেষ করছি এখানেই। লাইক করুন, শেয়ার করুন আর নতুন হলে সাবস্ক্রাইব করে নিন বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ