Daily
গতকাল মাঝরাত থেকে আনলক পর্ব শুরু হলো বাংলাদেশে। শুরু হয়েছে আন্তঃনগরি বাস, ট্রেন ও নৌ পরিষেবা।
দিনের আলো ফুটতে না ফুটতেই ঘরে ফেরা মানুষের লম্বা লাইন ধরা পড়ল ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন চত্বরে। রেলের পক্ষ থেকেও যাত্রীদের নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার জন্য করা হচ্ছে মাইকিং।
বাংলাদেশ হাসিনা প্রশাসন সামনে ঈদের উৎসবকে মাথায় রেখে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করল মাত্র সাত দিনের জন্য আনলক পর্ব।
বেলা গড়াতেই যেমন যাত্রীদের ভিড় ঠিক তেমনি স্টেশন চত্বরে রেলের প্রস্তুতি কেমন ছিল তা খতিয়ে দেখতে একেবারেই সরেজমিনে আসরে নামেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম।
লোকাল ট্রেনে একটা কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থা হলেও আন্তনগরি ট্রেনের ক্ষেত্রে অনলাইনে টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে তাও আবার ৫০ শতাংশ যাত্রীর জন্য। কেউ কেউ যে টিকিট কাটতে অসুবিধায় পড়েন নি এমনটা অবশ্য ধরা পড়ল না।
বাংলাদেশ যখন করোনার সংক্রমণ বেশ ঊর্ধ্বমুখী তখন ১৪ দিনের লকডাউন ডেকে দেশের সংক্রমনের গ্রাফকে অনেকটাই নিচে নামিয়ে আনে হাসিনা প্রশাসন। তারমধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বিধি মাথায় রেখে রেল চালানোটা যে বেশ চ্যালেঞ্জ তা ধরা পড়ল রেলমন্ত্রীর কথায়।
ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে মাস্ক ছাড়া নিরাপদ দূরত্ব বিধি ছাড়া কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এবার রেল কর্তৃপক্ষ সুরক্ষা বিধির উপর সবথেকে বেশি জোর দিয়েছেন। যাত্রীরাও মেনে নিয়েছেন সরকারের এই সুরক্ষা বিধিকে।
ঋদি হক, ঢাকা