Daily
বেলাগাম সংক্রমণকে রুখতে বিধিনিষেধের পথে হাঁটে বাংলাদেশ। এরইমধ্যে ঢাকার মগবাজারে ঘটে যায় ভয়ানক বিস্ফোরণ। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার লকডাউন পালনে যথেষ্ট কড়া হল হাসিনা সরকার। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে জারি হয়ে গেল কঠোর লকডাউন। চলবে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত।
এই সময়ের মধ্যে অকারণে বাড়ির বাইরে পা রাখলে কার্যত গ্রেফতার করা হবে। ভোর থেকেই রাজধানী ঢাকা চলে যাবে কোমায়। হাতে গোনা কিছু জরুরি পরিষেবা বাদ দিলে আর গোটা শহরই স্তব্ধ হয়ে যাবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাস্তায় থাকবে সেনাবাহিনী।
কিন্তু করোনার পায়ে যখন একদিকে বেড়ি পরাবার জন্য হাসিনা সরকার আসরে নেমে পড়েছে, ঠিক তখনই এই লকডাউন হাসি কেড়ে নিয়েছে ব্যবসায়ী থেকে বহু কর্মরত মানুষের। ফলে তাঁদের মধ্যে যেমন একদিকে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা তেমনই অন্যদিকে অনিশ্চয়তা।
সংক্রমণ আটকানোর জন্য লকডাউন ছাড়া আর কোন উপায় খুঁজে পায়নি হাসিনা প্রশাসন। কিন্তু এটাও তো ঠিক যে সংক্রমণ ছড়ালে আবারও বহু মানুষ পড়বেন জীবন সংকটে। আবারও দেখা দেবে হাসপাতালে রোগীদের ভিড়। যা এককথায় ফিরিয়ে আনবে দুঃস্মৃতি। তাই পরিস্থিতি আরও খারাপ হবার আগেই ব্যবসায়ী, কর্মরত মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়ে লকডাউনকেই বেছে নিতে বাধ্য হল বাংলাদেশ সরকার।
ঋদি হক, ঢাকা