Daily

বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে যার সম্পর্ক শুধু বন্ধুত্বের বললেও কম বলা হয়। এই সম্পর্কের ভিত আরও মজবুত হয় ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে। যখন বাংলাদেশ পাকিস্তানের তাঁবেদারি করা চিরকালের মত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই প্রস্তাবে সঙ্গ দেয় ভারত। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ঐতিহাসিক ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর সেই সিদ্ধান্ত আজও অটুট। ২০২০ সালের হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশে বসবাস করছেন ১৬ কোটিরও বেশি মানুষ। মুসলিম অধ্যুষিত এই দেশটি এখন বিশ্ব মানচিত্রে বেশ উপরের দিকেই উঠে আসছে। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতি। আসুন। আজ বিজনেস প্রাইম নিউজে কথা বলব বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে। কিভাবে দেশটি একের পর এক বাধা পেরিয়ে উঠে আসছে বিশ্বমঞ্চে। তারই একটুকরো আভাস দেওয়ার চেষ্টা করছি মাত্র। ভালো লাগলে শেয়ার করবেন। সাবস্ক্রাইব করবেন। বাংলাদেশের বন্ধুরা, আপনারাও নজর রাখবেন আমাদের চ্যানেলে।
বাংলাদেশ বলতেই প্রথমে মনে আসে দারিদ্র্য। ঘন জনবসতি পূর্ণ একটি দেশের কথা। এটা ঠিক যে বাংলাদেশ একটি মধ্য আয়ের দেশ। কিন্তু জানেন কি, বর্তমানে বাংলাদেশ নিজের অবস্থান স্পষ্ট করছে প্রতিদিন। আজ বাংলাদেশ বিশ্বের সপ্তম দ্রুত উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় ঢুকে পড়েছে। কৃষিকাজ, পরিবহন, পাইকারি ব্যবসা, খুচরো ব্যবসা, উৎপাদন খাতে বাংলাদেশ রাখছে নজরকাড়া সাফল্য। তবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে কিন্তু মূল অক্সিজেন যোগাচ্ছে পোশাক শিল্প বা গারমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি। পোশাক রফতানি করেই বাংলাদেশ সবথেকে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৬ শতাংশ আসে এই গারমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি থেকেই। সবথেকে বড় ব্যাপার হল, করোনা ভাইরাসের একের পর এক ঢেউ যখন বাংলাদেশের ঠিক পাশের দেশ আমাদের ভারতের অর্থনীতিকে কার্যত বেহাল করে দিয়েছিল তখন কিন্তু বাংলাদেশের আর্থিক বৃদ্ধি ছিল বেশ চোখে পড়ার মত। সত্যি বলতে, করোনার থাবা সেভাবে বাংলাদেশে কোনদিনই মন্দা ডেকে আনতে পারেনি। তার জন্য অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখেন শেখ হাসিনার সরকার। মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশ যে গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে তাতে বিশ্বের প্রথম ২৫টি দেশের তালিকায় ঢুকে পড়তে খুব একটা সমস্যা হবে না। ২০৩৬ সালের মধ্যে ভারত যখন বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে তিন নম্বরে উঠে আসবে তখন বাংলাদেশও কিন্তু বিশ্বমঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ ছাপ রাখবে। বেলজিয়াম, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রিয়া, সুইডেন, নরওয়ে, তাইওয়ানের মত দেশগুলিকে কড়া প্রতিযোগিতায় ফেলে দেবে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের অর্থনীতির এই নাটকীয় উত্থানের কারণ কি শুধুই ভারত? একেবারেই না। বরং এখানেও উল্লেখযোগ্য ছাপ রেখেছে চিন। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জোয়ার আনতে চিনের বিনিয়োগ অনেকটাই। দুই দেশের মধ্যে যে আলোচনা চুক্তি হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের জন্য চিনের বিনিয়োগ কত জানেন? ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। ধীরে ধীরে বিভিন্ন উন্নয়নশীল খাতে এই টাকা খরচ করবে চিন। যার মধ্যে মাত্র ২০০ কোটি ডলার ইতিমধ্যেই ঢেলেছে শিংপিংয়ের সরকার। এমনকি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চিন করমুক্ত করবে প্রায় ৯৭ শতাংশ। যা বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে আর নির্ভরযোগ্য জায়গায় পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে।
এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশের শ্রীবৃদ্ধি ঘটানোর জন্য ভারতের কি অবদান সেই নিয়েও আলোচনা হবে। ভারত এবং বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আমরা একটু ইতিহাসের পাতাতেও চোখ রাখতে পারি। আর যদি ভারতের কথা না ধরে শুধু পশ্চিমবঙ্গের কথাই ধরি, তাহলে বলতে হয় দুই বাংলার গল্প কিন্তু এখনও অনেকটাই বাকি। সেই গল্প বলব আমরা। তুলে ধরব একেকটা প্রতিবেদনের মাধ্যমে। তার জন্য নজর রাখুন বিজনেস প্রাইম নিউজে।