Trending
সরকার নজর দিলেই কেল্লা ফতে
বাংলাদেশ থেকে মুছে যাবে আর্থিক দুর্দশা
ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে
তবু রয়েছে উদাসীনতা
তাই বুঝি আজও বাংলাদেশ রাইজিং ইকোনমি
কিন্তু কেন?
বিনিয়োগে কম নজর নাকি পরিকাঠামোর অভাব
কী এমন গুপ্তধন রয়েছে বাংলাদেশে
আজকের প্রতিবেদন হতে চলেছে এই নিয়েই।
বাংলাদেশে খনিজ সম্পদ নেই এটা যদি কেউ ভেবে থাকেন তাহলে বলতেই হবে সেটা খানিকটা বোকামিই হবে। তার জন্য অবশ্য কিছুটা দায় বর্তায় সরকারের ওপর। কারণ বাংলাদেশের সরকারি উদাসীনতা যেভাবে কাজ করছে তাতে খনিজ সম্পদ উত্তোলন করে এবং তা বিশ্ব বাজারে রফতানি করতে পারলে বাংলাদেশ আজ ট্রিলিয়ন অর্থনীতি তৈরি করতে সক্ষম হবে। দেখুন আমরা বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমি নিয়ে একটা প্রতিবেদন করেছিলাম। প্রয়োজনে লিঙ্কে ক্লিক করে দেখে নিতে পারবেন। তবে ব্লু ইকোনমি নয়, মাঝেমধ্যে মনে হয় কেন বাংলাদেশ সরকার পরিকাঠামোর অভাব পূরণ করছে না? দেখুন, বিজনেস প্রাইম নিউজ সবসময় চায় প্রতিটা দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হোক। প্রত্যেকটি মানুষ সুস্থভাবে জীবন যাপন করুন। আর্থিকভাবে যদি প্রত্যেকটি মানুষ সক্ষম হয় তাহলে দিনের শেষে তার জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। বাংলাদেশ সরকার যদি সেই দিকটায় নজর দেয় তাহলে দিনের শেষে লাভবান হবেন কারা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত হওয়া মানে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটা ভালো পজিশনে পৌঁছতে পারবে। কেন এতো কথা বলা জানেন?
জিওলজিকাল সার্ভে অফ বাংলাদেশ তারা সম্প্রতি একটা পরিসংখ্যান বের করেছে। তারা বাংলাদেশে প্রাকৃতিকভাবে মজুদ খনিজের সার্বিক মূল্য আনুমানিক কোন জায়গায় পৌঁছতে পারে সেটা নিয়ে একটা তথ্য রিলিজ করেছে। তাদের বক্তব্য, সেই সম্পদের আনুমানিক মূল্য দাঁড়াতে পারে ২.২৬ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। তবে জিএসবি বলছে, এর সঙ্গে প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য জুড়ে দেওয়া হয়নি। সেটা যদি জুড়ে দেওয়া হয় তাহলে বলতে হবে সম্পদের আনুমানিক মূল্য আরও কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিদ্যুৎ জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জিএসবি প্রায় ৮ ধরণের খনিজ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ লক্ষ ২৬ হাজার ১৪০ কোটি ডলার। যার মধ্যে রয়েছে কয়লা, পিট কয়লা, চুনাপাথর, সাদামাটি, লোহা, কাঁচবালি, কঠিন শিলা, নুড়িপাথরের মতো সম্পদ। যা ছড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায়। আর এদের সর্বমোট আনুমানিক মূল্য পৌঁছতে পারে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারে। কিন্তু ঐ দিনের শেষে হচ্ছে কোথায়?
এক বিশেষজ্ঞ বলছেন, বাংলাদেশ সরকার প্রাকৃতিক গ্যাস তোলার জন্য যে তাগিদ দেখাচ্ছে সেটা কয়লা উত্তোলন বা এসবের জন্য দেখাচ্ছে না। তার কারণ? কোন সুনির্দিষ্ট উত্তর নেই। অনেকের বক্তব্য হচ্ছে হাসিনা সরকার কোন না কোনভাবে যেন উদাসিনতাই দেখাচ্ছেন। যা খনিজ সম্পদ রয়েছে, সেগুলোয় যদি ঠিকঠাক বিনিয়োগ করা যায় তাহলে বাংলাদেশের ইকোনমি শুধু স্ট্রং হবে না, প্রত্যেকটি মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নত হবে। দেখুন, বাংলাদেশের ফরেক্স রিজার্ভ রয়েছে ২৪.৪৬ বিলিয়ন ডলার মতন। তুলনা টানতে চাইছি না। তবে বলছি, ভারতে ফরেক্স রিজার্ভ প্রায় ৬০৩ বিলিয়ন ডলার। এবং ভারতে খনিজ সম্পদ কতটা রয়েছে সেই নিয়ে দিনভর পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। ভারত সরকারের উদ্যোগ রয়েছে সেখানে ভালোরকম। কিন্তু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ফারাক রয়েছে অনেকরকম। আর সেটা একমাত্র সরকারি উদাসীনতা। এখন বাংলাদেশের সরকার যদি এই গোটা বিষয়টায় নজর দেয় এবং শুধু প্রাকৃতিক গ্যাস নয়। একইসঙ্গে ৮ ধরণের খনিজ সম্পদ তুলতে পারে তাহলে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি তৈরি করতে পারবে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের সরকার কবে উদাসীনতার মোড়ক থেকে বেরিয়ে আসবে?
বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ