Market

পরিবেশপ্রেমী এবং সাধারণ মানুষের লাগাতার প্রতিবাদের জেরে বোধোদয় বাংলাদেশ সরকারের। ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসিনা প্রশাসন। সাধুবাদ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি। গতকাল শনিবার টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানিয়েছেন, ১০ টি প্রকল্প বাতিল করা হলেও এখনও ১৯টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে সরকারের পরিকল্পনায়। এগুলোর মধ্যে রামপাল, মিরসরাই, মাতারবাড়ী সহ আটটি কেন্দ্র বাস্তবায়ন হতে পারে।
সূত্রের খবর, ২০৩০ সাল নাগাদ ১০ থেকে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এইসকল কেন্দ্র থেকে পেতে চাইছে বাংলাদেশ সরকার। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানিয়েছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট উদ্বেগের। কারণ লক্ষ্যমাত্রার চারভাগের এক ভাগ বিদ্যুৎ সরকার এই সকল কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র থেকেই নিতে চাইছে। তাদের মতে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সুযোগ থাকলেও সরকারি তরফ থেকে পাওয়া যায়নি কোনরকম উদ্যোগ। ফলে যেখানে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হত সেখানে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ প্রতিদিন মাত্র ৭৩০ মেগাওয়াট। যা মোট উৎপাদনের পরিমাণের ৩.৪৭ শতাংশ।
উল্লেখ্য, নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে গেলে সেক্ষেত্রে খরচও অনেকটা কমে যায়। আর যে কারণে ২০২১ সালে লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি সরকারের। এদিকে জানা গিয়েছে, কয়লাকেন্দ্রিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবর্তে ব্যয়বহুল এলএনজি এবং জ্বালানি তেলনির্ভর কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার যে কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম কয়লা এবং কার্বন দূষণকারী দেশে পরিণত হতে পারে।
এমনিতেই পৃথিবী দূষণে আক্রান্ত। প্রশাসনের তরফ থেকে তেমনভাবে খুব একটা পরিবেশ বাঁচানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উদ্যোগও লক্ষ্য করা যায়না। যদিও পরিবেশপ্রেমীদের এই বিষয়ে সচেতন করার অক্লান্ত পরিশ্রম রয়ে গিয়েছেই। সেদিক থেকে দেখতে গেলে বাংলাদেশ সরকার যে ১০টি কয়লাভিত্তিক প্রকল্পকে বাতিল করেছে তা খানিক হলেও আশা জুগিয়েছে সাধারণ মানুষের মনে।
ব্যুরো রিপোর্ট