Agriculture news
কৃষকের ক্ষতি হলে তো সরকারকেই পাশে দাঁড়াতে হবে। ধান, ভুট্টা বা এই জাতীয় ফসলের ক্ষতি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে হয়ে থাকে। চাষের ক্ষতি মানে চাষির ক্ষতি। সেই ক্ষতি পূরণ করবে কে? তাই এগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। বাংলা শষ্য বীমা যোজনার মাধ্যমে বেশ কয়েকবছর ধরেই সরকার কৃষকদের সহায়তাদান করছে। কিভাবে কী পুরোটাই বলব আজকের এই ছোট্ট প্রতিবেদনে।
চলতি ২০২৩ খরিফ মরশুমে কৃষি দফতর প্রতিটি ব্লকে শুরু করেছে কৃষকদের বীমার আওতায় নিয়ে আসার জন্য আবেদন। তারই জন্য শুরু হয়ে গিয়েছে নাম নথিভুক্তকরণের কাজ। তার জন্য কৃষকদের আবেদন জানাতে হবে। অবশ্যই সেটা ক্ষতি হলে। জমা দিতে হবে জমির কাগজ, সঙ্গে প্রয়োজন ভোটার কার্ড, আধার কার্ড সহ উপযুক্ত প্রমাণপত্র। জেলা কৃষি দফতর জানিয়েছে, এই নাম নথিভুক্তকরণের জন্য আবেদন জানানো যাবে আগামি ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত। আর সেই লক্ষ্যেই এবার পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়িতে কৃষকদের সচেতন করার কাজ শুরু হল ট্যাবলো উদ্বোধনের মাধ্যমে। এই ট্যাবলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে কৃষকদের সচেতন করতে প্রচার চালাবে।
কৃষি দফতর মতে, এক হেক্টর জমি চাষ করতে খরচ পড়ে প্রায় ৮৪২২৭.০০ টাকা। এরপর যদি চাষাবাদের সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে তখন ক্ষতিপূরণের জন্য এগিয়ে আসবে ইনশিওরেন্স কোম্পানি। জানা গিয়েছে, চাষের সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটলে এবং ফসলের মধ্যবর্তী অবস্থায় ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ মিলবে ৫০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। আর উপগ্রহ চিত্র থেকে ক্ষতির অঙ্কটা ধরা পড়বে তাই চাষিদের সেক্ষেত্রে কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না। এই অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক দিব্যা মরুগেশন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) পূর্ব মেদিনীপুর প্রবীন মিশ্র, মোহনলাল মুর্মু, তীর্থঙ্কর মণ্ডল ও অন্যান্য জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিকগণ। প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে লাইক করুন, শেয়ার করুন। সঙ্গে অবশ্যই নতুন হলে সাবস্ক্রাইব করে নিন বিজনেস প্রাইম নিউজ।
প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর