Daily

বাঙালি মাছে-ভাতে থাকলেও সপ্তাহের শেষ দিনে মাংস থাকবেই ভোজনপ্রিয় বাঙালির পাতে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে মুরগির মাংসের দাম নাগালের মধ্যে থাকায়, বাঙালিরা মেনু লিস্টে তাই অধিকাংশ সময় ঠাঁই মেলে মুরগির। হাটে-বাজারে সাধারণত চোখে পড়ে ব্রয়লার মুরগি। একইভাবে বেড়েছে কড়কনাথ মুরগির চাহিদা। কিন্তু বনরাজ মুরগির নাম শুনেছেন? এই মুরগির মাংসের স্বাদ সাধারণ ব্রয়লার মুরগির থেকে ভালো হওয়ার কারণে বনরাজ মুরগি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন মুরগি খামারিরা। শুরু করেছেন চাষ।
সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ২ নম্বর ব্লকের কৃষিদপ্তরের আধিকারিক শক্তিপদ মঙ্গলের তত্বাবধানে এবং আতমা প্রকল্পের ব্যবস্থাপনায় আতমা প্রকল্পের ব্যবস্থাপনায় কোটবাড় গ্রামপঞ্চায়েতের সাউরী গ্রামের বিবেকানন্দ মাল্টিপারপাস কোয়াপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের অধীনস্থ কয়েকজন কৃষকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বনরাজ মুরগির বাচ্চা এবং খাবার। সেই অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে প্রদর্শনী ক্ষেত্র। প্রায় ২ মাস আগে নতুন প্রজাতির মুরগি চাষ শুরু করেন তাঁরা।
প্রথমদিকে এই মুরগি চাষ নিয়ে একটা সংশয় দানা বেঁধেছিল খামারিদের মধ্যে। কত ওজন হবে বা দাম কত উঠতে পারে, সেই নিয়ে দানা বেঁধেছিল সন্দেহ। তবে ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মাথায় দেখা যাচ্ছে বনরাজ মুরগির ওজন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কেজির বেশি। পাইকারি রেটও বেশ ভালো। যা হাসি চওড়া করেছে মুরগি চাষিদের।
এই বনরাজ মুরগী সাধারন ব্রয়লার মুরগী থেকে সুস্বাদু। তাই ক্রমশ চাহিদা বাড়ছে বনরাজ মুরগীর। কৃষিদপ্তরও রীতিমতো খুশি এই বনরাজ মুরগীর প্রদর্শনী ক্ষেত্র গড়ে। কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বনরাজ মুরগির চাষ আগামিদিনে আরও বৃদ্ধি পাবে। আর চাহিদা বাড়ানোর জন্য ভবিষ্যতে আতমা থেকে প্রদর্শনী ক্ষেত্র আরও বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে।