Market
দিল্লির আতশবাজি মার্কেট। বাক্সে বাক্সে সার দিয়ে সাজানো আতশবাজি। ফুলঝুরি, তুব্রি, চরকি, রংমশাল, পটকা আরও কত কি! সামনেই যে উৎসবের মরশুম। ব্যাপক বিক্রির আশায় ব্যাবসায়িরা।
নাহ! এবারেও বিক্রি-বাট্টা হবে না। আতশবাজি বিক্রিতে আরও একবার সটান ‘না’ ঘোষণা করেছে কেজরিওয়াল সরকার। দিল্লির অতিদূষণ রুখতে গত তিন বছর ধরে, আতশবাজি বিক্রিতে কোনরকম ছাড়পত্র দেয়নি ডিপিসিসি। তাই মন্দায় চলতে থাকা ব্যবসায় এবার ফের কালের ঘরে শনি। গত ১৫ই সেপ্টেম্বর আতশবাজি, বিক্রি এবং ফাটানোয় সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নিষেধাজ্ঞা চলবে ১লা জানুয়ারি ২০২২ অবধি।
তবে, শুধুমাত্র আতশবাজিই কেন? রাজধানীর এই অত্যাধিক দূষণের জন্য, আতশবাজিই কি একমাত্র কারণ? প্রশ্ন তুলেছেন দিল্লির সদর বাজার ক্র্যাকার অ্যাসোসিয়েশানের জেনারেল সেক্রেটারি, হরজিৎ সিং ছাবরা। গত তিন বছর ধরে যথেষ্ট মন্দা দেখেছে আতশবাজি ব্যবসায়িরা। স্বয়ং সুপ্রিম কোর্ট যখন বলেছে, গ্রিন ক্র্যাকার বিক্রি করা যাবে, তখনও কেন আতশবাজি শিল্পকেই টার্গেট করে, বারবার ‘না’ করা হচ্ছে? সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
দেওয়ালে পীঠ থেকে যাওয়া ব্যবসায়ীদের মুখের দিকে তাকিয়ে এখন কি উত্তর দেবেন কেজরিওয়াল সরকার? সেটাই দেখার।
ব্যুরো রিপোর্ট