Story
গতানুগতিক স্বর্ণধান চাষ করতেন তাঁরা। ছিল রোগপোকার উপদ্রব। ছিল না ভালো বাজারদর। দিনের শেষে জমি ভর্তি ধানের ফলন দেখেও তেমন একটা হাসি ফুটত না ঝাড়গ্রামের বিনপুর বা নয়াগ্রামের কৃষকদের। তাই কৃষি দফতর পরামর্শ দিল চিরাচরিত পদ্ধতি ছেড়ে বেরিয়ে আসার। একইসঙ্গে কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হল সুগন্ধি ধানের বীজ। আর তাতেই বাজিমাত করলেন কৃষকরা।
ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর এক এবং নয়াগ্রাম ব্লকের কৃষকরা বহুদিন ধরেই পুরনো পদ্ধতিতে চাষ করে আসছেন। এদিকে পরিশ্রমের ফসল তেমন একটা পাচ্ছিলেন না কৃষকরা। তারপর কৃষি দফতর নতুন চাষপদ্ধতির পরামর্শ দিল কৃষিদের। ড্রাম সিডার, শ্রীপদ্ধতি, জিরোটিলেজ পদ্ধতি কৃষকদের জন্য নিয়ে এলো খুশির খবর। আর খুশির পারদ আরো একটু চড়া হল যখন কৃষকদের বেশি উৎপাদনের জন্য পরামর্শ দেওয়া হল নতুন জাতের ধান চাষের। বিভিন্ন স্কিমের মাধ্যমে তাঁদের কৃষি দফতর পরামর্শ দিল কখনো ব্ল্যাক রাইস তো কখনো বাদশা ভোগ ধানচাষের। উদ্দ্যেশ্য কৃষকদের আর্থিকভাবে আরো অনেকটা শক্তিশালী করে তোলা। সেই ছবিটা স্পষ্ট হল এক কৃষকের কথায়।
তবে শুধু পরামর্শ দেওয়াই নয়। কৃষকদের উৎসাহ দিতে কৃষি দফতরের আর কে ভি ওয়াই স্কীমের মাধ্যমে ব্লকের বহু কৃষকের হাতে তুলে দেওয়া হল বিনামূল্যে বাদশাভোগ ধানের বীজ, ওষুধ। সময়ে সময়ে বিজ্ঞানীদের পরামর্শ মেনে চাষ করে আজ তাঁরা আর্থিকভাবে অনেকটাই মজবুত।
এখন গাছের বয়স ১২৫ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। পাকছে ধান। শুরু হয়ে যাবে ধান কাটার কাজও।
স্বাভাবিকভাবে সুগন্ধি বাদশাভোগ ধান চাষ করে রীতিমতো খুশি বিনপুর ১ ব্লকের মুড়াবনী,রামনগর সহ বেশকয়েকটি গ্রামের কৃষকেরা। আর এই মুড়াবনী মৌজাতে ৭০ জন কৃষক ইতিমধ্যেই উপকৃত হয়েছেন। বিঘা প্রতি ৬ কুইন্টাল ধান পাবেন বলেন আশাবাদী কৃষকরা। একইসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, আগামী মরশুমে আবারো চাষের জন্য বীজ হিসেবে কিছুটা রেখে দেবেন। কৃষি দফতরের পরামর্শ মেনে এখন বাদশাভোগ ধানেই আর্থিকভাবে অনেকটা লাভবান হলেন কৃষকরা।
প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর