Trending

বাংলা ও বাঙালির রসনায় ইলিশ হচ্ছে আভিজাত্য। বাঙালির খাদ্য তালিকায় ইলিশের গুরুত্বকে অবহেলা করা যায়না। কিন্তু ইলিশপ্রেমীদের আশঙ্কা, হয়ত আগামী প্রজন্ম ইলিশের স্বাদটাই আর পাবে না। যে হারে ইলিশ তোলা হচ্ছে এবং বিক্রি হচ্ছে মাছের বাজারে, তাতে খুব বেশি দেরি নেই, ইলিশের দেখা হয়ত পাওয়া যেতে পারে একমাত্র যাদুঘরে। তাই মৎস্যজীবীদের সচেতন করতে এবার পথে নামল ডায়মন্ড হারবার প্রেস ক্লাব এবং কুসুমের ফেরা সাহিত্য পত্রিকা। তাদের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল আন্তর্জাতিক ইলিশ বাঁচাও ও পর্যটন উৎসব। যেখানে মৎস্যজীবীদের সচেতন করা হল শিশু ইলিশ না ধরার জন্য।
গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীরা যান বিভিন্ন মাছ ধরার আশায়। এর মধ্যে থাকে প্রচুর শিশু ইলিশ। যার না আছে স্বাদ, না আছে গন্ধ। আর না সে পাতের আভিজাত্য বাড়ায়। কিন্তু এভাবে যদি শিশু ইলিশের নিধন হতে থাকে অকারণে তবে অচিরেই ইলিশের স্বাদ ভুলতে বাধ্য হবে বাঙালি। জলের এই রূপোলী শস্যকে বাঁচানোর তাগিদ তাই ইলিশপ্রেমীরা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাই বেছে নেওয়া দিঘার সমুদ্র সৈকত।
পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবাংলার বাজারে এলে ক্রেতার চোখ চকচক করে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ থেকে টন টন ইলিশমাছ ভারতে প্রবেশও করে। কিন্তু বাংলাদেশ যদি বড় ইলিশের জোগান দিতে পারে তবে পশ্চিমবঙ্গ কেন পারবে না? তাই প্রয়োজন মানুষের ভাবনা চিন্তার একটু পরিবর্তন।
জলের রূপোলী শস্য বলা হয় ইলিশকে। ইলিশ দুই বাংলার সম্প্রীতির প্রতীক, ঐতিহ্যের প্রতীক। তাই যথেচ্ছ ইলিশ ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ। গ্রাম বাংলা থেকে আগেই কিছু মাছ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। এবার সেই পথেই এগোচ্ছে ইলিশ। হয়ত আর কয়েক বছর বাদে বর্ষা এলেও বাজারে ইলিশের দেখা মিলবে না। তাই বেড়ে উঠুক ইলিশের প্রজন্ম। তৈরি হোক মানুষের মধ্যে সচেতনতা। আপাতত সেই বার্তাই ছড়িয়ে দিতে চাইছেন ইলিশপ্রেমীরা।
প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর