Daily
এলাকায় চাষের যোগ্য জমির পরিমাণ ৪০ হেক্টর। অথচ পেটের দায়ে ঘর ছাড়ছেন গ্রামের মানুষজন। ভিন রাজ্যে গিয়ে যদি রোজগারের উপায় খুঁজে পাওয়া যায়। জলের অভাবে খাঁ খাঁ করছে বিস্তীর্ণ কৃষিজমি। ঝাড়গ্রামের সাকরাইল ব্লকের ছবিটা ঠিক এরকমই। তবে, গ্রামের পর গ্রাম যদি এভাবে অন্ন-বস্ত্রের জন্য বাসস্থান ছাড়ে, তাহলে আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য এটা যে কত বড় বিপদ সঙ্কেত সেটা বোধ হয় আঁচ করতে পেরেছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলার কৃষি আধিকারিকরা। বিন্দুমাত্র দেরী না করে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন।
মূলত জলের অভাবেই গ্রামের কৃষিজমিগুলো একফসলি অবস্থায় পড়ে থাকে। আর তাই ঘর ছাড়তে হয় রোজগেরে গ্রামবাসীদের। সমস্যার বিকল্প সমাধান হাতে নিয়ে তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় কৃষি দপ্তর। প্রাথমিকভাবে ৬ টি সোলারপাম্প বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। আর এই সোলার পাম্প থেকে জল সরবারহ করে গ্রামের কৃষিজীবি বেশ কিছু মানুষজন নতুন উদ্যোমে কৃষিকাজ শুরু করেছেন।
এর পাশাপাশি গ্রামবাসীদের কৃষিক্ষেত্রে উৎসাহ বাড়াতে প্রায় ৪৯ জন কৃষকের হাতে আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে তৈলবীজ তুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার চাষিভাইরা কৃষিদপ্তরের সহায়তায় আতমা প্রকল্পের আওতায় তিলের চাষ যেমন করছেন, তেমনই অন্যান্য বেশ কয়েকজন কৃষক এই সোলার পাম্পের জলকে কাজে লাগিয়ে সব্জির চাষও করছেন। সোলার পাম্পের দৌলতে মিটেছে জলের অভাব। রুখা-সুখা জমিতে ফসল ফলছে দেখে খুশি চাষিভাইরা।
চাষিভাইদের মুখে হাসি দেখে আশ্বস্ত হয়েছেন কৃষি আধিকারিকরা। আগামী মরশুমে আরো বহু কৃষক উৎসাহী হবেন বলে আশাবাদী তারা। আর চাষিভাইরা উদ্যোগী হলে এলাকায় কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধিও হবে। আগামীদিনে কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে যদি আরও সোলার পাম্প বসে, তাহলে এলাকার বাকি অনাবাদী জমিগুলো আরও শস্য-শ্যামল হয়ে উঠবে। আর পেটের দায়ে ঘর ছাড়তে হবে না গ্রামের মানুষজনকে।
প্রসূন ব্যানার্জি
ঝাড়গ্রাম