Trending

১৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে বানানো হয়েছিল মহারাষ্ট্রের অটল সেতু। আর সেই অটল সেতুতেই এবার নজরে এল লম্বা ফাটল। যা দেখে রীতিমত সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রীতিমত ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন করা হয় এই দীর্ঘতম সি লিঙ্ক। অটল বিহারই বাজপেয়ীর নামে নামকরন করা হয়। প্রযুক্তি এবং পরিকাঠামোর দিক থেকে নাকি এই সেতু একেবারে এ১ ক্যাটেগরির। কিন্তু সেসব জাঁকজমক, ব্র্যান্ডিং, মারকেটিং সবটা এসে দাঁড়ালো প্রশ্নের মুখে। অটল সেতু নির্মাণে দুর্নীতি করা হয়েছে? নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে? না হলে, উদ্বোধনের মাত্র ৫ মাসের মধ্যে কীভাবে ফাটল দেখা যেতে পারে সেই বিশ্বমানের সেতুতে? প্রশ্ন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলের।
ব্রিজ তৈরিতে দুর্নীতি হয়েছে। মানুষকে বোকা বানানো হয়েছে। মানুষের টাকায় নিজেদের পকেট ভরিয়েছেন বিজপি নেতারা। দৃশ্যমান ফাটল পর্যবেক্ষণে এসে এমনই বিস্ফরম অভিযোগ করেন কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে।৫-৬ মাসের মধ্যে যদি এই সেতুর এমন বেহাল দশা হয়, তাহলে পরে কী হবে? বলেও প্রশ্ন করেন তিনি।
অটল সেতু শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু নয়। গোটা দেশের দীর্ঘতম সেতুও। দৈর্ঘ্যের বিচারে এটি বিশ্বের মধ্যে ১২ তম। মুম্বই বিমানবন্দর থেকে নভি মুম্বই পৌঁছতে এই সেতু কমিয়ে আনে সময়সীমা। আড়াই ঘন্টার যাত্রাপথ পৌঁছনো যায় মাত্র ২০ মিনিটেই। এছাড়াও মুম্বাই থেকে পুণে, গোয়া এবং দক্ষিণ ভারতে পৌঁছাতে অনেক সময় বাঁচায় এই ব্রিজটি।
২০১৬ সালে এই সেতু নির্মাণের শিলান্যাস করা হলেও সেই প্রোজেক্ট বাস্তবায়িত হতে সময় লেগেছে ৬ বছর। ২০২৪-এর জানুয়ারিতে পাকাপাকিভাবে সকলের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই সেতু। ১০ টি দেশের বিশেষজ্ঞ, ১৫ লক্ষ দক্ষ শ্রমিক আর ১৮ হাজার কোটি টাকা খরচে তৈরি করা হয় এই ৬ লেনের সেতুটি। কাজেই এই সেতু উদ্বোধনে যে এক্ত ব্যাপক হইচই হবে সেটা আশা করাই যায়।
বলা হয়েছিল, এই সেতু নির্মাণ করতে একেবারে অ্যাডভান্সড ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে উন্নতমানের নির্মাণ-সামগ্রী। ঝড়-ঝঞ্ঝা-ভূমিকম্প যাই হয়ে যাক- ১০০ বছরেও কোন ক্ষতি হবে না। কিন্তু বাস্তিওবে দেখা গেল এর ঠিক উল্ট ছবিটাই। আর এখানেই কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে সওয়াল করেছেন বিরোধীরা। ইমেজ বাঁচাতে গালভরা কথা বলা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তারা। যদিও বিজেপি সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।