Market

করোনার প্রকোপে কার্যত দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলির। বন্ধ হয়েছে ঝাঁপ, ছাটাই হয়েছে কর্মী। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিশেষত এই ক্ষেত্রের জন্য আলাদা ত্রাণ প্রকল্প জরুরি বলে মনে করে বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম। কেন্দ্র ও রাজ্যকে একসাথে পাশে চাইছে তারা।
গত বছরে ত্রাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ছোট শিল্পের জন্য বেশ কিছু ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। সম্প্রতি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের কাছে ঋণের টাকা পৌঁছে দিতে জোর দেওয়ার কথা বলেছে। অ্যাসোচ্যামের প্রেসিডেন্ট বিনীত আগরওয়ালের বলেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ের মতোই দ্বিতীয় ঝড়েও বড় সংস্থাগুলি পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিযে দ্রুত সেরে উঠছে। কিন্তু কি অবস্থা ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলির? কোথায় যাবেন তারা? কোনও ক্ষেত্রে চাহিদা কমেছে তো কারও আবার বাকি পাওনা। তার উপরে সম্প্রতি কাঁচামালের দাম হয়েছে আকাশছোয়া। যা কিনা চাপ বাড়াচ্ছে এমএসএমই-র উপরে। সব মিলিয়ে ছোট ও বড় শিল্পকে গ্রাস করছে অসামঞ্জস্য। ক্ষত সারানোর না আছে সঠিক পরিকাঠামো, না আছে পরিকল্পনা।
যদিও তিনটি পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছে অ্যাসোচ্যাম। বন্ধক ছাড়াই ছোট শিল্পের জন্য কার্যকরী মূলধন খাতে ব্যাংকগুলোর ঋণ ২০% বাড়ানোর কথা বলেন তারা। এমএসএমই-র অনুৎপাদক সম্পদ চিহ্নিত করার পদ্ধতি বদলের দাবি জানান তারা। এমনকি ছোট বিপণি, রাস্তার দোকানের মতো ক্ষেত্রে সরাসরি নগদ দেওয়া বা কার্যকরী মূলধন ঋণ হিসেবে জোগানোর ব্যবস্থার অনুরোধ জানান তারা। পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে জোর দেওয়ার কথাও বলেছে তারা। তাই সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের দিকে মুখিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
ব্যুরো রিপোর্ট