কেন্দ্রের সঙ্গে টুইটারের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। বারবার ডিজিটাল আইন নিয়ে টুইটার এবং কেন্দ্রকে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে হয়েছে। এরই মধ্যে মন্ত্রীসভায় রদবদল। রবিশংকর প্রসাদের চেয়ারে বসলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। আর প্রথমদিনেই তাঁকে পাওয়া গেল রীতিমত স্বমেজাজে। টুইটারকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। জানালেন, দেশের আইনই শেষ কথা বলবে। আর তা টুইটারকেই মানতে হবে।

নয়া আইটি আইন নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রীতিমত সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে টুইটার। ফেসবুক থেকে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম কেন্দ্রের এই নয়া আইন মেনে চলার সিদ্ধান্ত নিলেও বাক স্বাধীনতা খর্ব হতে পারে বলে প্রথম থেকেই কেন্দ্রের আইটি আইনের বিরোধিতা করেছে এই জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইট। প্রথমদিকে কেন্দ্রের নির্দেশমত টুইটার কোন শর্ত মানতে রাজি না থাকলেও অবশেষে শর্ত মেনে নেবার কথা জানায়। কিন্তু দেখা যায়, কোনরকম গ্রিভান্স অফিসার টুইটার নিয়োগ করেনি।

প্রথমে ধর্মেন্দ্র চতুর, তারপর জেরেমি কেসেল। গ্রিভান্স অফিসার হিসেবে এই দুজনকে টুইটার মনোনীত করলেও কেন্দ্র তা নাকচ করে দেয়। এরপর অবশ্য টুইটার জানিয়ে দেয়, আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যেই সংস্থাটি স্থায়ী গ্রিভান্স অফিসার নিয়োগ করবে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যেভাবে অশ্বিনী বৈষ্ণব চেয়ারে বসার পর থেকেই টুইটারকে হুঁশিয়ারির সুর শুনিয়ে রেখেছেন, তাতে পরিষ্কার যে কেন্দ্রের হয়ে ভবিষ্যতে বেশ কঠোর মনোভাবই দেখাবেন অশ্বিনী।

ব্যুরো রিপোর্ট