Daily

ভারত এখন এক ভয়ঙ্কর সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে। ভারতের শহরগুলোতে যখন চলছে মৃত্যু-মিছিল ঠিক তখনই এদেশের রূপালি পর্দার স্টার সুপারস্টাররা এ দেশের মানুষের কথা না ভেবে পাড়ি জমাচ্ছেন বিদেশের মাটিতে।
রূপালি পর্দার এই স্টার সুপারস্টারা এদেশের মানুষের চোখে ভগবানের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। অথচ সেই ভগবানরা একে একে ছেড়ে যাচ্ছেন ভক্তদেরকে। যে ভক্তরা হাসপাতালে একটু অক্সিজেনের জন্য, একটা বেড এর জন্য, একটা ইঞ্জেকশনের জন্য প্রতিদিন লড়াই করে চলেছেন। যাদের লড়াই থেমে যাচ্ছে তাদের কারোরই জায়গা হচ্ছে না শ্মশানে বা গোরস্থানে।
অথচ দেখুন এই বলিউড স্টারদের দেশের সংকটের সময় বিদেশের সমুদ্রতটে দাঁড়িয়ে সমাজ মাধ্যমে ছবি পোস্ট থামছেই না। কে নেই এই তালিকায়। শাহরুখ খান থেকে টাইগার শ্রফ, দিশা পাটানি থেকে রণবীর , শ্রীদেবী কন্যা থেকে মাধুরী দীক্ষিত। তালিকাটা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে।
যে দেশে থেকে আপনারা বড় হলেন, নাম কামালেন, যে দেশের মানুষের পয়সায় আপনারা ধনবান হলেন, যে দেশে মানুষের চোখে আপনারা ভগবান হলেন, সেই দেশের মানুষকে কিনা ছেড়ে গেলেন বিপদের সময়?
অথচ দেখুন এই ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সুপারস্টার অক্ষয় কুমার, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি, ভাইজান সলমান খান, সোনু সুদ প্রত্যেকে দাঁড়িয়েছেন কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে। রূপালি পর্দার এই তারকা গত লকডাউন থেকে মানুষের পাশে থেকেছেন প্রতিটি ফলে প্রতিটি ক্ষণে। সোনু সুদ বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিটি রাজ্য সরকারের কাছে দাবি তুলেছেন, যে সমস্ত পড়ুয়ারা কোভিডে তাদের বাবা মাকে হারিয়েছে এবার তাদের পড়াশোনার ভার গ্রহণ করুক সরকার।
মানুষ কি এই পরিস্থিতিতে আপনাদের কাছ থেকে একটু সহানুভূতি, একটু মানবিকতা আশা করে না। টাইগার শ্রফ আপনি মালদ্বীপ ভ্রমন করছেন ভালো কথা। ভ্রমণ আপনি করতেই পারেন। ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করাটা কি একান্তই জরুরী? আপনার ব্যক্তিগত ছবি আপনার ক্যামেরাতেই আপনি বন্দি রাখুন।
দিল্লিসহ একাধিক রাজ্যের শ্মশানে জ্বলছে গণ চিতা সেখানেই এই ধরনের ছবি বড্ড বেমানান।
এই রূপালি পর্দায় আপনাদের মুখে আর যাই মানাক দেশপ্রেমের কথা কিন্তু আপনাদের মুখে মানায় না। আপনারা স্টার বা সুপারস্টার কোনটাই নন। স্টার তো তারাই যারা করোনার ওয়ার্ডের দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ডিউটি করছেন। স্টার তো তারাই যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতাল। আপনারা জীবনে শুধু বিজনেস টাই করলেন মানবিক হলেন না।
ব্যুরো রিপোর্ট