Trending
সে যতই জুয়ার সঙ্গে আইপিএল-কে তুলনা করুন না কেন, আইপিএল নিয়ে ভারতীয়দের এক্সাইট্মেন্ট কোনদিন কমে নি আর কমবেও না। আইপিএল is one of the most awaited cricket tournaments ever. আর আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব যে এইবারের আইপিএলের ট্রফি কার ঘরে আসতে চলেছে। এইবারের আইপিএলের উইনার ইজ নান আদার দ্যান, মুকেশ আম্বানি। উহহু, শুধু আম্বানি নয়। মাস্টারমাইন্ড আম্বানি। আমি মুম্বাই ইন্ডিয়ানের কথা বলছি না। আমি বলছি আম্বানির আরেকটা টিম যে আপনাদের এই আইপিএলের ভিডিও দেখতে সাহায্য করছে। রিলায়েন্স অ্যান্ড জিও।
কথায় আছে, ইতিহাস পুনরাবৃত্তিমূলক। আম্বানি কিন্তু এই কথাটা মনে প্রানে বিশ্বাস করেন। আম্বানির সেই ফ্রি স্ট্রাটেজি, যেটা ইন্ডিয়ার বাকি টেলিকম অপারেটরদের মার্কেট থেকে সরিয়ে দিয়েছিল, এবারেও সেই ফ্রি স্ট্রাটেজির রিপিটেশন হতে চলেছে। এবং এবার নতুন একটা সেক্টরকে টার্গেট বানিয়ে ডিসরাপ্ট করতে চলেছে আম্বানি অ্যান্ড কো. আগামী ৫ বছরের জন্য ২৩,৭৫৮ কোটি টাকায় আইপিএলের ডিজিটাল রাইট নিজের দখলে নিয়েছে রিলায়েন্স। ডিজিটাল ইকোসিস্টেম আর ওটিটিকে চ্যালেঞ্জ করে ডিজনি প্লাস হটস্টার এবং সনির মতন বহুজাতিক সংস্থাকে টেক্কা দিয়ে আজ আইপিএলের মিডিয়া রাইটস এখন আম্বানির দখলে। এই মুহূর্তে তারা ইন্ডিয়ার মোস্ট ভিউড ক্রিকেট ইভেন্ট স্ত্রিম করছে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে তাও আবার একেবারে বিনামূল্যে। কিন্তু বিনামূল্যে ক্রিকেট স্টিমিং দেখিয়ে আম্বানির লাভ কি করে হচ্ছে?
আইপিএল মানে ভারতীয়দের কাছে একটা উৎসব। আর এই উৎসবের মেজাজে যদি মার্কেটিংটা ভালভাবে করা যায়, তাহলে তাহলে মার্কেটে একটা দাপট থাকবে। ফ্রি স্ট্র্যাটেজি অ্যাপ্লাই করেন আম্বানি। ফ্রি-তে পাওয়া গেলে কে আর গ্যাঁটের কড়ি খরচ করবে? সুতরাং, একটা বড় অংশের ইউজার বেস, যারা সাবক্রিপ্সহন নিতে হবে ভেবে টিভিতেই আইপিএল দেখে, তাদেরকে মোবাইলেই ফ্রি আইপিএল দেখানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া গেলে, জিও-র ইউজার বেস ৫০ কোটি ছুঁতে পারে। যেটা যেকোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কাছে স্বপ্নের মতো। মাস্টারমাইন্ড!
সিম্পল ইক্যুয়েশন। ডিজনি প্লাস হটস্টারের মতই জিও কিন্তু ডেটার ওপর বেটিং করছে। ডেটা ইউসেজ। জিওর প্রায় ৪২৫ মিলিয়ন ইউজারকে ইন্ডিরেক্টলি জিও ইনিসিস্ট করছে বেশি অ্যামাউন্টের ডেটা প্যাক রিচারজ করতে। এছাড়াও প্রতিবছর প্রায় ১০০-র বেশি অ্যাডভারটাইজার এবং ৭৫% বিটুসি ইন্ডিয়ান স্টার্টআপ এই আইপিএলকে টার্গেট করে ইউনিকর্নে পরিণত হয়। আইপিএলে একটা ছোট অ্যাড চালানর জন্য একেকটা কোম্পানি প্রায় ১০-১৫ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে।
বার যেহেতু জিও সিনেমাতে আইপিএল দেখা একদম ফ্রি, বেশি পরিমাণে অ্যাড আসবে, এটাই স্বাভাবিক। টিভিতে হলে, একটা কোম্পানি ৬০ সেকেন্ড অ্যাডের জন্য স্লট বুক করত। মোবাইলে চেঞ্জ হওয়ার পর এই ৬০ সেকেন্ডের স্লট টা ১৫+১৫+১৫+১৫ করে বিক্রি করা হচ্ছে। মানে একই টাইম ডিউরেশনে বেশি পরিমাণে কোম্পানির অ্যাড পাওয়া যাচ্ছে। আর কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রফিট কি? না তারা আগে ৬০ সেকেন্ডের জন্য বেশি পরিমাণে টাকা দিত, এখন তার ১/৪ স্পেন্ট করতে হচ্ছে।
তবে মনে রাখবেন, আগামী ৫ বছরে জিও-র কিন্তু আরও ৫টা ইনিংস খেলা বাকি। এইটা সবে শুরু। বেসিক্যালি জিও, হটস্টার বা স্টারস্পোর্টস যাই বলুন না কেন, এসবের মাঝখানে আমরা কিন্তু একটা বিষয় ভুলে যাচ্ছি, বেসিক্যালি যুদ্ধ এদের মধ্যে নয়, যুদ্ধটায় আপনি, আপনার অয়ালেট এবং আপনার অ্যাটেনশন ছাড়া আর কিন্তু কেউ যুক্ত নেই। অ্যাটেনশন ইস দ্য নিউ ফুয়েল। যত বেশি ডেডিকেটেড অডিয়েন্স একটা কোম্পানি হোল্ড করে, সে তত বেশি অ্যাডভারটাইজিং মানি রিসিভ করে। এবং তত বেশি পরিমাণ প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস তারা আপনাকে কেনার জন্য কনভিন্স করতে পারে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ