Trending

হয় anxiety নয় insomnia। বেশিরভাগ টেক এমপ্লয়ারদের পরিস্থিতি খানিকটা এমনই। কখন আবার ‘চাকরি গন-এর’ মেইল আসে। প্রথমে টুইটার। তারপর একে একে মেটা, নেটফ্লিক্স, ওয়ালমার্ট। আর এবার কর্মীছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে এমন একটা ব্র্যান্ড যে আমার বা আপনার সর্বক্ষণের সঙ্গী। চা, চিনি, বিস্কুট থেকে জামাকাপড়, ইলেক্ট্রনিক্স গেজেট, ডেইলি এসেনশিয়াল যাই প্রয়োজন পরে, ফোনটা খুলে জাস্ট অর্ডার দেওয়ার অপেক্ষা। দুয়ারে ডেলিভারি বয় হাজির। যে কিনা কর্মীছাঁটাইয়ের মতো নির্মম সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সেটা দুঃস্বপ্নেও কেউ ভাবেনি। একেবারেই তাই। এইবার কর্মীছাঁটাই করতে চলেছে অ্যামাজন। এই সপ্তাহেই মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করার পথে হাঁটছে অ্যামাজন। অ্যালেক্সা প্রোজেক্ট ফ্লপড। এদিকে রিটেইল বিজনেসের অবস্থাও বেশ খারাপ। তাই কিছুটা বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু হঠাৎ একের পর এক প্রযুক্তি কম্পানিগুলো কর্মীছাঁটাই কেন করছে?
বিশ্বজুড়ে এই হাজার হাজার কর্মীছাঁটাইয়ের ছবিটা খুব ভালভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে সিলিকন ভ্যালি একটা বড়সড় পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। একটা সময়ে যে ইউএস বেসড টেক ইন্ডাস্ট্রি গ্লোবাল ইকনমির একটা স্ট্রং পার্ট ছিল, সেই সংস্থাগুলোকেও এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। ভাবতে পারছেন? হাজার হাজার মানুষের চাকরি চলে যাচ্ছে! কি সাংঘাতিক ডিসিশন!
রিপোর্ট বলছে, জানুয়ারি ২০২২ থেকে জুন ২০২২, মাত্র ৬ মাসে প্রায় ৪.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের ধাক্কা খেয়েছে টেক ইন্ডাস্ট্রি। যার মধ্যে শুধু অ্যাপল আর মাইক্রোসফট থেকে কন্ট্রিবিউশন ছিল ১ ট্রিলিয়ন ডলার। এত বড় অঙ্কের ক্ষতি সামলাতেই কি কর্মী ছাঁটাই? হিসেব করলে দেখা যাবে যে শুধুমাত্র এইবছরেই প্রায় দেড় লক্ষ টেক ওয়ার্কার কর্মচ্যুত হয়েছেন। এবিষয়ে অবশ্য টেক জায়েন্ট সংস্থাগুলো মুলত দুটো কারণ দেখাচ্ছে,
প্রথমত, প্যান্ডেমিকের সময় যখন অনলাইনের রমরমা ছিল, তখন প্রচুর কর্মী নিয়োগ করেছে বড় বড় টেকজায়েন্টরা। আর এখন ইন্টারনেটের বুমটা ফিকে হয়ে আসছে। অফালাইনেই নির্ভরতা বাড়ছে। আর সেই নতুন কর্মচারীরা ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, বৃহত্তর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে বড় বড় ব্র্যান্ডগুলি ডিজিটাল মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছে। আর এই ডিজিটাল মাধ্যমে অ্যাড প্রকাশ করে কারা? টেক কোম্পানিগুলো। ফলে আয় কমছে টেক কোম্পানিগুলোর। যুদ্ধের কারণে বাড়ছে মুল্যস্ফীতি। আর উচ্চ মুল্যস্ফীতির কারণে অর্থনীতির চাকা ঘুরছে স্লো-মোশনে। অতয়েব সলিউশন হচ্ছে কর্মীছাঁটাই।
তবে টুইটার, অ্যামাজন, নেটফ্লিক্স, মেটার মতো তাবড় তাবড় টেক জায়েন্টরা যখন মাস লে অফ করছে, ঠিক তখনই কর্মী নিয়োগের কথা জানালেন ভারতীয় টেক কোম্পানি ড্রিম ইলেভেনের কো ফাউন্ডার হার্স জৈন। যাক, তবু তো কেউ ভাবে। বা অ্যাটলিস্ট ভাবার চেষ্টা করে। তিনি জানিয়েছেন, প্রবাসি ভারতীয় যারা কর্মচ্যুত হয়েছেন, তারা চাইলে দেশে ফিরে ড্রিম ১১ এ জয়েন করতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে তার কোম্পানি এখনও ফিনান্সিয়ালি অনেকটা স্টেবল। আর ট্যালেন্টের কদর তিনি করেন। এটা তো না হয় ভারতীয় কর্মীদের জন্য একটা উপায়। কিন্তু বাকিরা? এত বড় বিপর্যয়ের দিনে কর্মীছাঁটাইটা কী কোন সলিউশন? যারা কাজ হারাচ্ছেন তাদের দায়িত্ব কে নেবে? আপনারাই জানান আমাদের কমেন্ট বক্সে। দেখতে থাকুন…
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ