Trending

পৃথিবীর ফুসফুস বলতে আমরা জেনে এসেছি অ্যামাজনের জঙ্গলকেই। পৃথিবীর ২০% অক্সিজেন শুধুমাত্র এই ক্রান্তীয় অরণ্য থেকেই পাওয়া যায়। কার্বন শুষে নেবার ক্ষমতাও এই অরণ্যের অনেকটাই বেশি। কিন্তু বিগত বেশ কয়েকবছর ধরে এই জঙ্গলও সভ্যতার উন্নতির রোষে পড়েছে। যার দরুন প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লাতিন আমেরিকার এই জঙ্গল। যার প্রমাণ পাওয়া গেল এবার হাতেনাতে। সম্প্রতি ব্রাজিলের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চের একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে, যা রীতিমত চোখ কপালে তুলে দেবে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, কার্বন শোষণের থেকে অ্যামাজন কার্বন নির্গমন করেছে অনেকটা বেশি। কিন্তু কেন এই বিপরীত স্বভাব প্রকাশ পেল অ্যামাজনের?
কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, প্রতি মিনিটে দুটো ফুটবল মাঠের সমান অরণ্য উধাও হয়ে যাচ্ছে। তার অন্যতম প্রধান কারণ, বৃক্ষচ্ছেদন। কয়েকমাস আগে প্রকাশিত একটি তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, শুধু ব্রাজিল নয়, বৃক্ষচ্ছেদন হচ্ছে পেরু, বলিভিয়া, কলোম্বিয়া, ইকুয়েডর, ভেনেজুয়েলার মত সবকটি লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতেই। এছাড়া তো ফি বছর দাবানলের মত ঘটনা ঘটছে। ফলে সবমিলিয়ে অ্যামাজনের ভাগ্যে এখন জমা হচ্ছে কেবলই দুর্ভোগ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত ৯ বছর ধরে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে ব্রাজিলের মহাকাশ সংস্থা। সংগ্রহ করা হচ্ছে, ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৪৫০০ মিটার উচ্চতার বায়ুস্তরের নমুনা। যেখান থেকে পাওয়া গিয়েছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ১৫০ কোটি টন কার্বন-ডাই অক্সাইড অ্যামাজনের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে বাতাসে মিশেছে। পরিবর্তে শোষিত হয়েছে মাত্র ৫০ কোটি টন।
বর্তমানে গোটা বিশ্ব প্রতিদিন বিপদসীমার কাছে এগিয়ে যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। যেভাবে জলবায়ুর অভ্যাস বদলেছে, তাতে আগের অবস্থায় ফিরে আসা যথেষ্ট কঠিন। তবু মানুষের হুঁশ ফিরছে কই? এবার কি সেই কথাটাই মানুষের কাছে আরও একবার পৌঁছে দিয়ে সতর্ক থাকার বার্তা দিল অ্যামাজন?
ব্যুরো রিপোর্ট