Trending
স্যামসাং কিনবে অ্যাপল? তার সাথে ফেসবুক, অ্যামাজনও? বলেন কি মশাই! তাহলে জুকারবার্গের হাতে হ্যারিকেন? আর শেয়ার বাড়বে কার? আপেলের? থুড়ি অ্যাপেলের? অ্যাপলের? আধখাওয়া অ্যাপলের এত দহরম মহরম! আচ্ছা কখনও ভেবে দেখেছন অ্যাপলের লোগোতে অ্যাপলটা কেন খাওয়া? সেটা মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি হোক আর যাই হোক, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বিজনেসে এই আধ খাওয়া অ্যাপলই যে রাজত্ব করছে, সেটা আর বলে দিতে হবে না। তার মানে মেটা, গুগল, অ্যামাজনকে শেয়ার মার্কেটে বলে বলে দেবে গোল। আর নিজের সাম্রাজ্য ছড়িয়ে দেবে অ্যাপল। জানা যাচ্ছে, অ্যাপল বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ মানে নেট ওর্থ এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, একা অ্যাপলই গুগল, ফেসবুক বা অ্যামাজন কিনে ফেলতে পারে। ইনফ্যাক্ট বললে বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, মেটা, অ্যামাজন বা গুগলের থেকেও অ্যাপেলে ইনভেস্টের প্রবণতা বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। কিন্তু এত কস্টলি হওয়া সত্ত্বেও অ্যাপল কেন ওয়ার্ল্ডের ফেভরিট ব্র্যান্ড অফ অল টাইম? অ্যাপল এই বেস্ট ব্র্যান্ড হওয়ার Strategy-টা কি? সবটাই জানব আজকের এই ভিডিওতে।
দেখুন, অ্যাপল হচ্ছে এমন একটা ব্র্যান্ড যে সবচেয়ে কস্টলি ফোন বিক্রি করে এবং একটা সলিড প্রফিট মার্জিন মেনটেন করে। দেখুন, কোন একটা ব্যবসার ক্ষেত্রে জাস্ট দুটো জিনিস ফলো করতে হয়। হয় ভলিউম গেম খেলুন নয় মার্জিন গেম। মানে হয় অনেক প্রোডাক্ট বিক্রি করে কম প্রফিট অথবা কম প্রোডাক্ট থেকে বেশি প্রফিট, মানে প্রিমিয়াম প্রোডাক্ট সাপ্লাই। অ্যাপল হচ্ছে দুনিয়ায় একমাত্র ব্র্যান্ড যে কিনা এই ভলিউম আর মার্জিন এই দুটো গেমই একসাথে খেলে। ব্যাস মার দিয়া কেল্লা। অ্যাপলকে দুনিয়ার সবচেয়ে প্রফিটেবেল এবং বেস্ট ব্র্যান্ড বানাতে আর কে ঠেকায়?
আসলে না অ্যাপল একটা নিজস্ব সাম্রাজ্য রয়েছে। আইওএস। একটা ভীষণ সুন্দর বাগানে গেলে আপনার যেরকম মনে হয়, এই আইওএস প্ল্যাটফর্ম ব্যাবহার করলেও আপনার ঠিক তেমনই মনে হবে। যাবতীয় লাক্সারি ফেসিলিটি উইথ ভেরি হাই সিকিউরিটি। আর এদের প্রোডাক্টগুলো এমনভাবেই তৈরি যে এরা সবসময় ইন্টারকানেকটেড থাকে। মোবাইল, ম্যাকবুক, স্মার্ট ওয়াচ, ইয়ারপড যাই বলুন না কেন। একবার অ্যাপল এই লাভিশ বাগানে ঢুকলে, এর থেকে বেরনোটা, খুব মুশকিল! মানে সোজা ভাষায় অ্যাপল তার প্রোডাক্টকে ইউজারদের অভ্যাসে পরিণত করে। তবে বিশ্বাস করুন। অ্যাপল না কোনোদিন কোয়ালিটিতে কম্প্রোমাইজ করে না। তাই যতই কস্টলি প্রোডাক্ট বাজারে আনুক না কেন, বিক্রি হবে হরির লুঠের মতই।
তা অ্যাপলের কি আর এই জায়গাটা একদিনেই তৈরি হয়েছে? না তো! অ্যাপল এই বিজনেস মডেলটা বানাতে কতগুলো বছর লেগেছে একবার ভাবুন জাস্ট। আর এই বিজনেস মডেলটা বানাতে গিয়ে অ্যাপল কতগুলো কোর প্রিন্সিপ্যাল ছিল, আর সেটাই তারা অন্ধের মতো ফলো করেছে। কি সেই কোর প্রিন্সিপ্যাল? শুনে রাখুন। আপনার ব্যবসার ব্র্যান্ড ভ্যালু ধরে রাখতে কাজে আসলেও আসতে পারে।
সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রাইভেসিঃ আজ অবধি কখনও শুনেছেন, অ্যাপল থেকে ডেটা লিক হয়েছে? অ্যাপল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে জাস্ট কোন কথা হবে না। ইউজারের কোন কাজেই অ্যাপল জাসুসি করে না। আর অ্যাপল এই সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রাইভেসি পলিসির কাছেই হার মেনে গেছে গুগল, ফেসবুকের মতো টেক জায়েন্টরা।
কোয়ালিটিঃ কি আর বলি বলুন? কোয়ালিটির ব্যাপারে অ্যাপলের যত প্রশংসাই করি না কেন, শেষ আর হয় না।
সার্ভিসঃ সার্ভিসের ব্যপারে অ্যাপল সবসময় নো কম্প্রোমাইজ পলিসি ফলো করে। মানে অ্যাপল সবসময় কাস্টমারের সাথে, কাস্টমারের পাশে।
আপনিও যদি আপনার বিজনেসের জন্য এই Strategy ফলো করেন, তো Congratulations. You’re on the right track. কেমন লাগলো এই ভিডিওটি, জানাতে ভুলবেন না। সাথে দেখতে থাকুন…
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ