Daily
শস্য শ্যামল রাজ্য বাংলা। কৃষিজ ফসল উৎপাদনে যার নাম বরাবরই থাকে প্রথম সারিতে। তবে ধান চাষে বাংলার নাম শীর্ষে থাকলেও, ডাল বা তৈলবীজ চাষে এখনও বেশ খানিকটা পিছিয়েই রয়েছে বাংলার চাষিভাইরা। তাই ডাল বা তৈলবীজ চাষে কৃষকদের উৎসাহ বাড়াতে মননিবেশ করেছে কৃষি দপ্তর। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশন থেকে শুরু করে কেভিওয়াই কিংবা আতমা প্রকল্প – প্রথাগত ধান চাষের বাইরে বেরিয়ে, জমির উর্বরা শক্তি ধরে রাখতে অন্যান্য কৃষিজ ফসল উৎপাদনে উৎসাহ বাড়াতে চাষি ভাইদের সামনে নিয়ে এসেছে একাধিক প্রকল্প।
এবার বাদাম চাষে উৎসাহ বাড়াতে কৃষকদের পাশে দাঁড়ালো কৃষি দপ্তর। নেপথ্যে আতমা প্রকল্প। সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন ২ নং ব্লকের কৃষিদপ্তর, ১৯ জন কৃষককে নিয়ে বাদাম চাষের প্রদর্শনীক্ষেত্র আয়োজন করে। যেখানে সাবরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পিপুরসাই গ্রাম সহ পাশ্ববর্তী গ্রামের কৃষকদের বিনামূল্যে উন্নতমানের বাদামের বীজ ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র বিতরণ করে কৃষি দপ্তর। বর্তমানে কৃষি দপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী বাদাম চাষ করছেন এলাকার বেশিরভাগ কৃষক।
আগে যে জমিতে তারা ধান ফলাতেন, এখন সেই জমিতেই বাদাম গাছ লাগিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ ধান চাষ ছেড়ে চাষি ভাইরা বাদাম চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন কেন?
ধান চাষের জমিতে বাদাম চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন এলাকার বহু কৃষক। এই বিষয়ে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকের কি বক্তব্য?
কম খরচে বেশি লাভের মুখ দেখাতে চাষি ভাইদের কাছে একটা ব্রহ্মাস্ত্র হতে চলেছে এই বাদাম চাষ। এমনটাই আশা কৃষি আধিকারিকদের। ভবিষ্যতে চাষি ভাইদের যে কোন দরকারে পাশে থাকবেন তারা।
প্রসূন ব্যানার্জি
পশ্চিম মেদিনীপুর