Trending

বড়দিন এসে যাওয়া মানেই ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলে নতুন বছর। আমবাঙালির কাছে এই একটি সপ্তাহ যেন পিকনিকের জমজমাট মরশুম হয়ে ওঠে। প্রতি বছরেই জানা, অজানা বিভিন্ন পিকনিক স্পটগুলিতে মানুষের ঢল নামে। কেউ আসেন পরিবার নিয়ে। কেউ বা নিজের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ- পিকনিক স্পটগুলিতে বাড়ে মানুষের ভিড়। তারই এক টুকরো ছবি ধরা পড়ল সরাসরি আলিপুরদুয়ার থেকে। বিজনেস প্রাইম নিউজের ক্যামেরায়।
আলিপুরদুয়ার জেলায় যতগুলো পিকনিক স্পট রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম পোরো বস্তি। যার পোশাকি নাম পোরো ইকো পার্ক। জেলা সদর থেকে মাত্র ১২ কিমি দূরে। বক্সা ব্যঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত। এক পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে পোরো নদী। নিজের মতন। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এখানে পর্যটকদের সারা বছর আনাগোনা থাকেই। তবে বছর শেষের সপ্তাহে ভিড় বাড়ে নজিরবিহীন। সেই ভিড় থাকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। পর্যটকদের ভিড় মানেই এখানে টুকটাক খাবার নিয়ে যারা বিক্রির আশায় বসেন তাঁদেরও আয়ের পথটা সুগম হয়। তেমনি একজন মলয় কবিরাজ। যিনি পেশায় একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তিনি এখানেই ঝালমুড়ি বিক্রি করছেন।
দিনের বেলা এই জায়গাটি যেমন সুন্দর। সূর্য ডুবলেই কিন্তু এখানে বেড়ে যায় বন্য পশুদের আনাগোনা। বিশেষত হাতির দলকে দেখতে পাওয়া যায় এখানে। অবশ্য, বন্যপ্রাণীদের ভয় পর্যটকদের পা পড়াকে তেমন একটা আটকাতে পারেনা। এমন অনেকেই আছেন। বহু বছর ধরে যাদের কাছে পর্যটনের অন্যতম পছন্দের জায়গা এই পোরো বস্তি। তবে পর্যটকরা এখানে আসলেও তাঁরা সূর্য ডোবার আগেই স্থানত্যাগ করেন।
পর্যটনের জন্য এই জায়গাটি এতটাই মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছে যে নদীর উপর তৈরি করা হয়েছে একটি অস্থায়ী বাঁধ। শুধু আলিপুরদুয়ার নয়। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে এমনকি অসম থেকেও এখানে মানুষেরা ভিড় জমান পিকনিক করার উদ্দ্যেশ্যে। যে কারণে পর্যটন কেন্দ্রটিকেও সাজানো হয়েছে নতুন কলেবরে। বন্য সৌন্দর্যের মধ্যে আলিপুরদুয়ারের পোরো বস্তি এখন পর্যটকদের কাছে ফেভারিট পিকনিক স্পট হিসেবে বেশ নজর কেড়ে নিয়েছে।
অভিজিৎ চক্রবর্তী
আলিপুরদুয়ার