Daily

সত্যজিৎ রায়ের দৌলতে বঙ্কুবাবুর বন্ধু সেই ভিনগ্রহীর মহাকাশযান ল্যান্ড করেছিল গ্রাম বাংলায়। আর পরিচালক স্পিলবার্গের দৌলতে সোজা মার্কিন মুলুকে। এখন দুই ক্ষেত্রেই ভিনগ্রহীদের বন্ধু হিসেবে পেয়েছিল মানুষ। কিন্তু সে কল্পবিজ্ঞানের খাতায়। ভিনগ্রহীরা বাস্তবে আদৌ আছে কিনা সেই নিয়ে চর্চা অনেকদিন ধরে।
অনেকে মনে করেন এলিয়েন নিশ্চয়ই আছে আর অনেকেই ফুৎকারে উড়িয়ে দেয় এলিয়েনের অস্তিত্ব। কিন্তু একটি ছবি সম্প্রতি এই বিতর্ক আরও একটু উসকে দিয়েছে বলাই যায়।
অটোপ্সি টেবিলে শোয়ানো এক মৃতদেহের ছবির নেগেটিভ সম্প্রতি নিলামে উঠেছে একটি ই-কমার্স সাইটে। যার মূল্য ছাড়িয়েছে ১১ লক্ষ মার্কিন ডলার। আর এই ছবিটি যে কোন ভিনগ্রহীর, তা বিশ্বাসও করছেন অনেকে। কোথা থেকে এল এই ছবি? তার জন্য নজর ঘোরাতে হবে ১৯৪৭ এর একটি ঘটনায়।
নিউ মেক্সিকোর রসওয়েল শহর একদিন বেশ আলোচিত হয়ে ওঠে। কারণ, এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী ছিলেন সেই শহরের মানুষ। কয়েকজনের বক্তব্য ছিল, তাঁরা আকাশে বিচিত্র ধরণের আকাশযান উড়তে দেখেন। যা পড়েও থাকতে দেখা যায়। আর সেই আকাশযানের মধ্যেই পাওয়া যায় এক অদ্ভুত আকৃতির প্রাণীর। যাকে উদ্ধার করে মার্কিন সেনাবাহিনী। জানা যায়, সেই প্রাণীর শরীরে পোস্টমর্টেম করা হয়েছিল। তোলা হয়েছিল ছবিও। যা পরে ১৯৯২ সালে কিনে নিয়েছিলেন বিখ্যাত ইংল্যান্ডের চলচ্চিত্র প্রযোজক রে সান্টিলি। কিন্তু বিতর্ক চুপ থাকেনি। কিন্তু ২০১৯ সালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিসকভারি সায়েন্সের একটি গবেষণার রিপোর্ট আবার সেই ধামাচাপা দেওয়া বিতর্ক তুলে দেয়। কারণ জানান হয়, যে প্রাণীটির অটোপ্সি এবং ছবি তোলা হয়েছিল, তার সঙ্গে আদৌ কোন পৃথিবীর প্রাণীর মিল নেই। তাহলে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন- এই প্রাণী তবে কোথা থেকে এল? তাহলে কি সত্যিই আমাদের অজ্ঞাতসারে মহাকাশের কোন এক গ্রহ থেকে পৃথিবীতে আসার পরিকল্পনা করেছিল এলিয়েন?
ব্যুরো রিপোর্ট