দেশ তথা রাজ্যের অর্থনীতিকে মজবুত করতে কৃষিক্ষেত্র বরাবরই গুরু দায়িত্ব নিয়ে থাকে। যার মধ্যে অন্যতম ফসল হল ধান। আর এই ধান চাষই লক্ষ লক্ষ কৃষকের রুজিরুটি। কিন্তু করোনার আবহ কাটিয়ে যখন কৃষিক্ষেত্র নিজেকে ফের মজবুত করতে প্রস্তুত হয় তখন একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে কৃষকদের পড়তে হয় ভালোরকম ক্ষতির মুখে। এছাড়া তো বিভিন্ন ধরণের রোগপোকার আক্রমণ রয়েছেই। তাই কৃষি আধিকারিকরা মনে করছেন, ধান চাষের আগে ধানের বীজ ভালোভাবে শোধন করে নেওয়া উচিৎ।

সম্প্রতি বোরো মরশুম শুরু হওয়ার আগে ধান বীজ ছড়ানোর পরিকল্পনা করছে কৃষি দফতর। তার সঙ্গে ধানের বীজ শোধন চাষের জন্য যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই বিষয়েও কৃষকদের মধ্যে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। চলছে ব্লক এবং জেলা কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সেমিনার বা মিটিংয়ের মাধ্যমে বীজ শোধনের কথা। সেই বিষয়েই বিজনেস প্রাইম নিউজের ক্যামেরায় সরাসরি কথা বললেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা ড. মৃণালকান্তি বেরা।

১ কেজিতে খরচ পড়ে মাত্র ৫০ পয়সা। যদিও তার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। রোগপোকার আক্রমণ কমবে। চারা হবে অনেকটা সুস্থ, সবল। তবে বোরো মরশুমে বীজতলা হয় কাদায়। কিভাবে করা উচিৎ সেই বিষয়েও জানালেন তিনি।

প্রতিনিয়ত সচেতন করা হচ্ছে কৃষকদের। বীজ শোধনের ব্যপারে যথেষ্ট জোর দেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রদর্শনীক্ষেত্রে কৃষকদের বীজ শোধনের ট্রেনিং দেওয়া হয় হাতেনাতে। তাই ভালো ফলন পাওয়ার জন্য, একইসঙ্গে কৃষকরা যাতে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন সেই উদ্দ্যেশ্যেই কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর