Daily

কৃষকদের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা আছে যে নাড়া পুড়িয়ে দিলে মাটিতে পটাশ তৈরি হয়। যা একেবারেই ঠিক নয়। বরং পোড়ানোর কারণে যেমন মাটির অনেকটাই ক্ষতি হয়, তেমনি ব্যপক ক্ষতি হয় পরিবেশের। বাংলার কৃষকদের মত এই অভ্যাস আরো বেশি মাত্রায় রয়েছে দিল্লি, হরিয়ানা বা পাঞ্জাবের কৃষকদের মধ্যে। কয়েকবছর আগে ব্যপক পরিমাণে নাড়া পোড়ানোর কারণে গোটা আকাশ ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল। যারপরেই দেশ জুড়ে পরিবেশবিদরা কার্যত হইচৈই করে ওঠেন। তারপরেই গোটা দেশ জুড়ে কৃষকদের মধ্যে এই নাড়া পোড়ানর বিরুদ্ধে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়। বাংলার কৃষকদেরও সেই একই পরামর্শ লাগাতার দিয়ে চলেছেন কৃষি আধিকারিকরা।
কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। ধান কাটার পরে নাড়া পোড়ানোর কারণে যেভাবে দূষণের মাত্রা বাড়ছে তাতে চরম উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকারও। তাই পোষ্টার, ব্যানার, মাইকপ্রচারের পাশাপাশি বিভিন্ন সেমিনার করে এমনকি চাষের জমিতে দাঁড়িয়ে কৃষকদের নাড়া পোড়ানো বন্ধ করার জন্য কৃষি আধিকারিকদের সচেতন করতে দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরে। যে ছবি ধরা পড়ল বিজনেস প্রাইম নিউজের ক্যামেরায়।
না পুড়িয়ে কিভাবে পচিয়ে জৈব সার তৈরি করা যায় এবং কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন তাই নিয়েই কৃষকদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে কৃষি দফতর। দেওয়া হচ্ছে পরামর্শ। দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। এমনটাই জানালেন ঘাটাল মহকুমা কৃষি দফতরের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ প্রদ্যুত গুছাইত।
পোড়া মাটিতে ফসল হয়না। মাটি বন্ধ্যা হয়ে যায়। মারা যায় মাটির মধ্যে থাকা উপকারি জীবাণু। সব মিলিয়ে চরম ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় কৃষকবন্ধুদের। ব্যপক ক্ষতির মুখে পড়ে কৃষিজমিগুলো। একইসঙ্গে বাড়তে থাকে পরিবেশের দূষণ। তাই গোটা দেশের মতই বাংলার কৃষকদেরও নাড়া পোড়ানো বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার।
প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর