Trending

বর্ষার পদ্মার জলে বানভাসি দশা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ভগবানগোলার বাসিন্দাদের। এখান থেকেই পদ্মা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলার এই জায়গায় পদ্মার নাব্যতা কম থাকায় জল ধারণের ক্ষমতা অনেকটাই কমে গিয়েছে। ফি বছরের বর্ষায় জলের তোড়ে ভাসাটাই যেন গা সওয়া হয়ে গিয়েছে এখানকার মানুষদের।
নদীর মাঝে পলি জমে জমে সৃষ্টি হয়েছে কয়েক কিলোমিটার চর। আর এই চরেই বসবাস প্রায় কয়েক হাজার মানুষের। কিন্তু চরে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস হলেও বর্ষাকালে পদ্মা নদীর জলস্তর বাড়লে প্রতিবছর জল ঢুকে যায় বাসিন্দাদের বাড়িতে। প্রত্যেক বছরই চরম দুর্দশার শিকার হন এখানকার মানুষ। সেইরকমই কিছু দুর্দশার ছবি আপনাদের দেখাবো বিজনেস প্রাইম নিউজের পর্দায়।
ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লকে পাঁচটি সংসদ ও ভগবানগোলা ১ নম্বর ব্লকে একটি সংসদ রয়েছে। এই বছরও বৃষ্টির ফলে পদ্মা নদীর জলস্তর বৃদ্ধির ফলে অসহায় হয়ে পড়েছেন এই চরের বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ চরে নেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা। সরকারি ভাবে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সোলার প্যানেলের ব্যবস্থা করেছে সরকার তবুও সারাদিনে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন তাঁরা। এই ব্যাপারে প্রশাসনিক কর্তাদের অভিযোগ জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
ভোটের সময় যে স্বপ্ন দুচোখে দেখেন এখানকার মানুষরা ভোট পেরোলে তাদের আর দেখা পাওয়া যায়না। বন্যার সময় নেতারা ত্রাণ নিয়ে আসলেও যারা ত্রাণের উপযোগী তারা ত্রাণ পাননা। তাই এবছরেও তাঁদের সমস্যার সমাধান হবে কি? উত্তর সময়ই দেবে।
কুশল শরীফ, মুর্শিদাবাদ