Market
বাংলায় সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও এখনও শূন্যে এসে ঠেকেনি। করোনার চোখ রাঙানি উত্তর ২৪ পরগনায় কমে এলেও মিলিয়ে যায়নি একেবারে। এবার সেই লক্ষ্যেই পৌঁছোবার জন্য উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরনগর ফুলবাজার সহ গাইঘাটার বেশ কয়েকটি বাজারে জারি হল কিছু প্রশাসনিক নির্দেশিকা। ঠাকুরনগর ফুলবাজার থেকেই ফুল আসে হাওড়ার মল্লিকঘাট ফুল বাজারে। এবং ঠাকুরনগর ফুল মার্কেটে ফুল চাষিরা আসেন ফুল বিক্রি করার জন্য। কিন্তু করোনার আতঙ্কে এবং প্রশাসনিক নির্দেশের মধ্যে পড়ে ফুলচাষিদের কপালে জমল চিন্তার ভাঁজ। কিন্তু আগে প্রাণ, তারপরে ব্যবসা। আর সেই কারণেই গাইঘাটা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বনগাঁর পুলিশ সুপার, বনগাঁ মহকুমা শাসক সহ বিভিন্ন প্রতিনিধিদের সঙ্গে গাইঘাটা ব্লক অফিসে বৈঠক করেন জেলাশাসক। তিনি নিজেও পরিদর্শন করেন প্রত্যেকটি বাজার।
এই ফুলের বাজার খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত। নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রেতা এবং অর্ধেক বিক্রেতা নিয়েই আপাতত এক সপ্তাহ চলবে এই ফুল বাজারের ব্যবসা। কিন্তু মসৃণভাবে কি আদৌ এভাবে বাজার পরিচালনা করা সম্ভব হবে?
শুধু ঠাকুরনগর ফুল বাজারই নয় গাইঘাটার সবজি মার্কেট ও বড় দোকানের ক্ষেত্রে জারি করা হয়েছে আলাদা নিয়ম। যেদিন সব্জি মার্কেট খোলা থাকবে সেদিন বড় দোকান বন্ধ রাখা হবে। আর যেদিন বড় দোকান খোলা হবে সেদিন বন্ধ রাখা হবে সব্জির বাজার।
এই মুহূর্তে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রথম ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ১৯ লক্ষ মানুষকে এবং দ্বিতীয় ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৪ লক্ষ মানুষকে। অর্থাৎ টিকাকরণ চলছে দুর্দান্ত গতিতে। কিন্তু ভাইরাসের থাবা যাতে আরও চওড়া না হয় তারজন্য প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্কতা এবং করোনা বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবু দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো বিক্রি কমার ভাবনায় আতঙ্কিত। কিন্তু জেলাশাসকের বক্তব্য অনুযায়ী এইভাবে বাজার চলার নিয়ম জারি থাকলে তখন ভাইরাসের সংক্রমণ আরও কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দেবস্মিতা মন্ডল
উত্তর ২৪ পরগনা