Daily
ইয়াসের আতঙ্কে এবার সুন্দরবনের অন্যতম বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঘোড়ামারা থেকে মানুষদের সরানোর কাজে হাত লাগাল প্রশাসন।
আবহবিদদের মতে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস যদি বালেশ্বরে আছড়ে পড়ে তবে তার ব্যপক প্রভাব পড়বে ঘোড়ামারায়।
এমনিতেই ভূবিজ্ঞানীদের কাছে অবস্থানগত কারণে অন্যতম মাথাব্যথার কারণ এই ঘোড়ামারা দ্বীপ। দ্বীপের বেশিরভাগটাই চলে গেছে ভাঙ্গনের গ্রাসে। সেই দ্বীপে যদি এবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ে তবে ব্যাপক অংশের মানুষের মধ্যে দেখা দেবে ক্ষয়ক্ষতি।
এদিন সকাল থেকেই সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা একেবারে জেটিঘাটে দাঁড়িয়ে মানুষদের ঘোড়ামারা থেকে ভেসেলে করে নিয়ে আসেন সাগরের নিরাপদ আশ্রয়ে। সকাল থেকেই ঘোড়ামারা দ্বীপ জুড়ে চলে প্রশাসনের মাইকিং। উত্তাল নদী পেরিয়ে একে একে প্রায় দেড় হাজার বাসিন্দা এসে পৌঁছান সাগরে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
ঘোড়ামারা আদৌ থাকবে কি থাকবে না সেকথা সময় বলবে। কিন্তু দপ্তরের দায়িত্ব পেয়ে যেভাবে মাঠে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন মন্ত্রী নিজেই তা ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে সাধারণ মানুষের।
ঘোড়ামারা দ্বীপ থেকে নবাব মল্লিকের রিপোর্ট, বিজনেস প্রাইম নিউজ।